হ্যাপি আক্তার: [২] করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাবিশ্বাস বিশ্ব। এ সময় একের পর এক ফাঙ্গাস হানায় আতঙ্ক বেড়েই চলেছে ভারতে। ব্ল্যাক এবং হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বেগ তো আছেই। তার সঙ্গে নতুন করে যোগ হলো ইয়েলো বা হলুদ ফাঙ্গাস। আনন্দবাজার, এই সময়
[৩] সোমবার দিল্লির এনসিআরে এক ব্যক্তির শরীরে নতুন এই ফাঙ্গাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। চিকিৎসা শুরু করলেও এই নতুন ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় উদ্বিগ্ন দেশটি সাধারণ মানুষ এবং বিষেশজ্ঞমহল। এই মুহূর্তে হলুদ ছত্রাকে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে ডক্টর ব্রিজ পাল ত্যাগী হাসপাতালে। চিকিৎসকরা কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তাঁকে।
[৪] কতখানি বিপজ্জনক এই হলুদ ফাঙ্গাস?
বিষেশজ্ঞদের দাবি, কালো ও সাদা ছত্রাকের চেয়েও অনেক বেশি মারাত্মক হলুদ বা ইয়েলো ফাঙ্গাস। তবে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবেই এই সব ছত্রাক শরীরে বাসা বাঁধছে। আর এই হলুদ ছত্রাক শরীরে বাসা বাঁধার অন্যত্তম খাবার নাকি বাসি খাবার-দাবার খাওয়া।এই সংক্রমণের অন্যতম কারণ। চিকিৎসকদের মতে, হলুদ ছত্রাকে মৃত্যুহার তুলনায় বেশি। কারণ এটি শরীরের ভেতরের অংশে বেশি ক্ষতের সৃষ্টি করতে সক্ষম
কীভাবে বুঝবেন কেউ হলুদ ছত্রাকে আক্রান্ত?
* শারীরিক ক্লান্তি দেখা দেবে।
*ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকবে।
*খিদে কমে যাবে বা একেবারেই থাকবে না।
*সংক্রমণের মাত্রা বেশি হলে ক্ষতস্থান থেকে পুঁজ বেরোবে।
*কোনও ক্ষতস্থান দ্রুত সেরে না ওঠা।
হলুদ ছত্রাকের হানায় শরীরের কী ক্ষতি হতে পারে?
*ছত্রাকের প্রভাবে চোখ ধীরে ধীরে বুজে আসতে থাকে।
*বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে।
*শরীরের কোনও অংশে পচনও ধরতে পারে।