ফজলুল বারী: সিরাম ইনস্টিটিউটের সংগে প্রথম চুক্তিতে ছিল বাংলাদেশ অন্য কারো কাছ থেকে টিকা সংগ্রহ করতে পারবেনা! ভারত করোনা নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থায় পড়লে সিরাম যেমন টিকা সরবরাহে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশও চুক্তির শর্ত থেকে সরে আসে। চীনা টিকা কিনতে চুক্তি করা নিয়ে আলোচনা শুরুর পর চীন তাদের উপহারের টিকা পাঠিয়ে সেখান থেকে বাংলাদেশে তাদের অবস্থানরত নাগরিকদের জন্যেও টিকা চায়। এরমাঝে চীনা টিকার চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী! মন্ত্রী বলেছেন চীনা ভাষায় লেখা চুক্তির সঠিক জায়গায় স্বাক্ষর না করায় চীনের টিকা পেতে দেরি হচ্ছে। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় চীনা ভাষায় লেখা চুক্তির খুঁটিনাটি পড়তে চীনা ভাষা জানেন এমন একজনকে নিয়োগ করেছে। এসব কিছুতে আটকে আছে চীনা টিকার প্রাপ্তি। খদ্দের আবার ফসকে না যায় এই ভয়ে চীন আরও ছয় লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসাবে পাঠানোর ঘোষনা দিয়েছে। রাশিয়ার চুক্তি নিয়ে চলছে হযরলব পরিস্থিতি। এটাও বলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। বাংলাদেশে এভাবে কখনও এক মন্ত্রনালয়ের দক্ষতা নিয়ে আরেক মন্ত্রনালয় প্রশ্ন তুলে, এমন আগে কখনও দেখা যায়নি।