রাশিদুল ইসলাম : [২] ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের মুখে অসহায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানানোর কারণে বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি’র নারী সাংবাদিক এমিলি উইল্ডারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাকে বহিষ্কারের পর সারা বিশ্বের সাংবাদিকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
[৩] চরমপন্থী ইহুদীবাদী কয়েকটি গণমাধ্যম উইল্ডারকে টার্গেট করার পর তাকে এপি কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করে। তার আগ পর্যন্ত এমিলি উইল্ডার নিউইয়র্ক শহরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ইহুদিবাদী গণমাধ্যমগুলো অভিযোগ তুলেছে যে, কলেজ জীবনে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে উইল্ডার নানামুখী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
[৪] ব্রিটিশ পত্রিকা দৈনিক গার্ডিয়ানকে উইল্ডার জানিয়েছেন, বার্তা সংস্থা এপি’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নীতি লঙ্ঘন করার অভিযোগ তুলে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে তবে কোন টুইটার পোস্টে এপি’র নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে সে বিষয়ে তাকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয় নি।
[৫] এ সম্পর্কে উইল্ডার বলেন, কোনো সন্দেহ নেই যে, আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তার কর্মকাণ্ডে বার্তা সংস্থা এপি’র জন্য কোন সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সম্পাদক।
[৬] চলতি সপ্তাহে ইহুদিবাদী গণমাধ্যমগুলো উইল্ডার সম্পর্কে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে উইল্ডারের ইসরায়েল ও ইহুদিবাদ বিরোধী তৎপরতার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল এপি কর্তৃপক্ষ।