সুজন কৈরী: [২] বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের সহযোগিতায় দুই বছরেরও বেশি সময়ের পর সন্তানের সঙ্গে কথা বললেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক ব্যক্তি। বিয়ে বিচ্ছেদের পর তার নাবালক দুই সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে পুলিশের সাহায্য কামনা করেন তিনি। পরে উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টির সমাধান করে পুলিশের মিডিয়া উইং।
[৩] শনিবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা জানান, হামিদুর রহমান (কল্পিত) নামের একজন যুক্তরাজ্য প্রবাসী মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে পাঠানো বার্তায় উল্লেখ করেন যে, তার স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। বিচ্ছেদের পর সদ্য প্রাক্তন স্ত্রী তাহমিনা খাতুন (কল্পিত) দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে দেশে ফিরেছেন। এরপর সন্তানদের সাথে কিছুদিন যোগাযোগ ছিল হামিদুরের। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে সন্তানদের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি তার সন্তানদের সঙ্গে কোনও প্রকার যোগাযোগ করতে পারছেন না। প্রাক্তন স্ত্রী বা তার পরিবারের কারো সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তিনি। সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও প্রকার চেষ্টা না করতে প্রাক্তন স্ত্রীর পক্ষ থেকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে তাকে। নিরুপায় হয়ে তিনি পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন। হামিদুরের চাওয়া ছিল তার সন্তানদের সাথে তাকে নিয়মিত যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।
[৪] বার্তা পাওয়ার পর মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং খুলনা সদর থানার ওসি আশরাফুল আলমকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা প্রদান করে। মিডিয়া উইংয়ের পরামর্শে ওসি খুলনা সদরের স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তায় বিষয়টি সমাধানে সচেষ্ট হন। মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংও উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছে। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘদিন পর হামিদুর রহমানের সাথে তার সন্তানদের যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
[৫] প্রতিটি বিষয়েই বার্তা গ্রহণ থেকে সমাধান পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত থাকে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।