আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]ভারত নিয়েছে ভারসাম্যের নীতি, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান স্বাধীন ফিলিস্তিনের। [৩]কূটনীতিতে আসতে পারে বড় ধরণের পরিবর্তনও। [৪] ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েল উভয় দেশের সঙ্গে ভারত ভারসাম্যপূর্ণ নীতি গ্রহণ করেছে। তারা দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক উন্নত করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে ভারত ও ইসরায়েলের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হয়েছে। ২০১৮ সালে এ দুটি দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের। ফরেন পলিসি
[৫] ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে টান টান একটি রাজনৈতিক রশির ওপর দিয়ে হাঁটছেন মোদি। গুরুত্ব দিয়ে তাকে মনে রাখতে হচ্ছে, ফিলিস্তিনিদের ইস্যুতে দীর্ঘদিন সমর্থন দিয়ে আসছে ভারত। ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গাঢ় হওয়া সত্ত্বেও সেই অবস্থান থেকে ফিরে আসেনি ভারত। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৮ সালে ফিলিস্তিনও সফর করেছেন মোদি। এর আগের বছর তিনি ইসরায়েল সফর করেন।
[৬] জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতীয় দূত এ সপ্তাহে এই যুদ্ধ নিয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে তিনি ফিলিস্তিনিদের সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন। ইসরাইলের শক্তি ব্যবহারকে তিনি প্রতিশোধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে ভারত যে ফিলিস্তিনিদের দাবি এবং দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমস্যার সমাধানে শক্তিশালীভাবে সমর্থন করে এ বিষয়টি তিনি জোর দিয়ে তুলে ধরেছেন।
[৭] এমন অবস্থায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও এই যুদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এই উত্তেজনা ইসলামি কট্টর ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদ বিক্ষোভকে সহিংস করে তুলতে পারে। এখনও এ অঞ্চলে যেসব প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে বা হচ্ছে তা শান্তিপূর্ণ। কিন্তু কাশ্মীরে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে দমনপীড়ন চালাচ্ছে ভারতের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা।
[৮] ১৭ই মে আল কায়েদার মিডিয়া উইং থেকে এক বিবৃতিতে ইহুদি এবং তাদের মিত্রদের ওপর হামলা চালাতে আহ্বান জানিয়েছে মুসলিমদের প্রতি। এই হুমকি ভারতের জন্য বিশেষ করে উদ্বেগের। কারণ, দক্ষিণ এশিয়ায় ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ অংশীদার ভারত এবং এখানে স্বল্প সংখ্যক ইহুদি আছে।