গোলাম সারোয়ার: তিনটি পৃথক অভিযানে জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন টোলাপ্লাজা এলাকা থেকে ২২ (বাইশ) কেজি গাঁজা, ১ টি ট্রাক, মাদক বিক্রয়ের নগদ-২০০০/-টাকা‘সহ ০৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।
২০ মে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
র্যাব সূত্র জানায়, ২০ মে সকাল ০৮.৩৫ টায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প,কিশোরগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজার অনুমান ২০০ গজ পূর্ব দিকে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনের উপর অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ নাঈম হোসেন রুবেল (২৯), পিতা-মোঃ বাচ্চু মিয়া, গ্রাম-দামপাটুলী, থানা ও জেলা- কিশোরগঞ্জ, মোঃ ইমন (১৭), পিতা-মোঃ কাশেম, গ্রাম-মুকন্দপুর, থানা-বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গ্রেপ্তার করেন।
এসময় ধৃত আসামীদ্বয়ের নিকট হতে ১৪ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, ০১ টি ট্রাক উদ্ধার করে জব্দ করা হয় একই দিন সকাল ০৯.১৫ টায় আশুগঞ্জ থানাধীন গোলাচত্তর যাত্রী ছাউনীর সামনে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আফজাল (২৫), পিতা-নেহার উদ্দিন, গ্রাম-ভৈয়ম বেলাবো, থানা-মাধবদী, জেলা-নরসিংদীকে গ্রেপ্তার করেন।
এসময় ধৃত আসামীর নিকট হতে ০৪ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, মাদক বিক্রয়ের নগদ-২০০০/- টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয় এবং সবশেষে সকাল ১০.২৫ টায় গোলচত্তর যাত্রী ছাউনীর সামনে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ (৩০), পিতা-মৃত অহেদ আলী, গ্রাম-শেখের চর, থানা-বকসিগঞ্জ, জেলা-জামালপুরকে গ্রেপ্তার করেন। এসময় ধৃত আসামীর নিকট হতে ০৪ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত মোট গাঁজার পরিমান ২২ কেজি, ০১টি ট্রাক,মাদক বিক্রয়ের নগদ-২০০০/-টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরা চালানের মাধ্যমে গাঁজা দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসত। তারা বর্ণিত গাঁজার চালান রাজধানীর জনৈক ব্যক্তির নিকট বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছে বলে ধৃত আসামীরা স্বীকার করে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :