মাসুদ আলম : [২] মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশানে মন্টানা লাউঞ্জ নামে একটি সিসা বারে অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সিসা বারটি তারকা দম্পতি ওমর সানি ও আরিফা জামান মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীনের। তবে স্বাধীনকে মামলার আসামি করা হয়নি। সিসা বারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
[৩] গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দীন ইসলাম, হৃদয়, নাসির উদ্দিন, সৌরভ কস্তা, ওমর ফারুক, রিজওয়ান রোজারিও, মো. মাসুম, ইলিয়াস, জুলহাস, বিজয় ও শিমুল কস্তা।
[৪] ওমর সানি বলেন, সিসা সিগারেটের চেয়েও কম ক্ষতিকর। এছাড়া গুলশান-বনানীতে এমন আরও ৪০টি সিসা বার রয়েছে। তাহলে সিসা বার কেন অবৈধ হবে। মন্টানা লাউঞ্জ আসলে একটি খাবারের রেস্টুরেন্ট। এর মালিক আমার ছেলে এবং তার আর দুই বন্ধু। খাবারের পাশাপাশি এখানে সিসা খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। আমরা কোনো বেআইনি কাজ করেনি। আমরা দেশের আইন অনুযায়ী চলতে চাই। আমরা খুব সুন্দরভাবেই আছি এবং বাকি জীবনটাও খুব সুন্দরভাবে থাকব। অবৈধ কোনো কিছু আমরা করিনি এবং করবও না। এখানে আমাদের আসল ব্যবসা খাবারের। সাপ্লিমেন্টারী হিসেবে সিসা বারটি ছিল।
[৫] তিনি বলেন, গুলশান বনানীতে যদি আরও ১০টি সিসা লাউঞ্জ থাকে তাহলে আমরটা কেনো থাকবে না। আরও ১০-১৫ বছর আগে থেকে গুলশান বনানীতে সিসা লাউঞ্জ আছে। সিসা লাউঞ্জের ১০০ শতাংশ কোনো কাগজপত্র বাংলাদেশ সরকার দেয় না। আর সিগারেট অবৈধ না হলে সিসা লাউঞ্জ কেন অবৈধ হবে?
[৬] গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, আসামিদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে স্বাধীন না থাকায় তাকে আসামি করা হয়নি। সিসা ও সিসা সেবন করার বিভিন্ন জিনিসপত্রও জব্দ করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সিসা সেবন নিষিদ্ধ। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়।