আতাউর অপু : দেশে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় চলমান সর্বাত্মক লকডাউন অব্যাহত। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশি প্রহরা ও মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরও সাধারন মানুষের ইদযাত্রা ছিল চোখে পড়ার মত। লকডাউন ভেঙেই রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন অনেকেই। যদিও যে যেখানে আছেন, সেখানেই ঈদ করার জন্য বারবার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে ঈদের ছুটি তিন দিন ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারপরও থেমে নেই ঈদযাত্রা।
পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার বিষয়ক দুটি সামাজিক সংগঠন গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি) এবং নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক যৌথ প্রতিবেদনে গত ১৪ মে ঈদুল ফিতরের দিনসহ ৬ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত মোট ১২ দিনে সড়ক, মহাসড়ক ও পল্লী এলাকাসহ সারাদেশে ২০৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই সব দুর্ঘটনায় ২৪৯ জন নিহত ও ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন।
দেশের ১৫টি জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক পত্রিকাসহ আটটি অনলাইন নিউজপোর্টালের খবরের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান করে সংগঠন দুটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩৫ নারী, ২৯ শিশু, ২৩ পথচারী এবং চালকসহ ২৭ জন পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন। দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা সর্বশেষ ঈদের (গত বছরের ঈদুল আজহা) ছুটির চেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, ২০২০ সালে ঈদুল আজহার ১২ দিনে দেশে ১৮৭টি দুর্ঘটনায় ২২৯ নিহত ও ৩১৮ জন আহত হন। সর্বোচ্চ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯৮টি, যেখানে মৃত্যু হয় ১০৭ জনের। মহাসড়কে ৩৩ দশমিক ৫, অভ্যন্তরীণ সড়কে ৩৬, গ্রামীণ সড়কে ১৮ দশমিক ৫ এবং শহর এলাকার সড়কে ১২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সংগঠন দুটির যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দূরপাল্লার বাস, যাত্রীবাহী অভ্যন্তরীণ নৌযান এবং ট্রেন চলাচলের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের ঈদে সড়ক, মহাসড়ক ও গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলোতে বিপুলসংখ্যক প্রাইভেটকার ও অন্যান্য ছোট যানবাহন চলাচল করেছে। এগুলোর ওপর কার্যত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কড়া নজরদারি ও তদারকি ছিল না। সুতরাং দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এসব যানবাহন অনেকাংশে দায়ী।