রবিউল আলম: পরাধীনতার শিকল ভাঙতে বাঙালির ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন সফল হওয়ার পরে, পাকিস্তান নামে রাষ্ট্রের পাথর চাপা থেকে মুক্তির লক্ষে ১৯৪৮ সালে শেখ মুজিব ছাত্রলীগ নামে একটি সংগঠনের জন্মদেন। ১৯৪৮ সালেই ইসরাইল নামের একটি রাষ্ট্রের জন্মদেন ব্রিটিশরা। ফিলিস্তিন জনগণের ওপর জুলুম নিপিড়ন শুরু হয়। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতা অর্জিত হলেও আরবদের মির্জাফরিতায়, আমেরিকার হস্তক্ষেপে মিসরীয় আক্রমণ থেকে ইসরাইল রক্ষা পায়। বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রথম বৈদেশিক সহায়তা ছিলো ফিলিস্তিন জনগণের পক্ষে ওষুধ, চা এবং বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারাও ফিলিস্তিন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে বিশ্ব মুসলিম রাষ্ট্রগুলো নিজে বাঁচো নীতির কারণে ফিলিস্তিনি সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি, এখনো হবে কিনা জানা নেই।
মুসলিম জঙ্গিবাদীরা আল-আকসায় হামলা হলে নিজ দেশে গাড়ি পুড়াতো, ইসরাইলের অর্থে আইএস নামে জঙ্গবাদী সংগঠন গড়ে তুলতো মুসলমান দাবি করে। সৌদি সহ বিশ্বে অনেক দেশ ইসরাইলের দালাল হয়েছে। ইরান, তুরস্ক চাইলে বৃহৎ স্বার্থে রাশিয়া প্রতিরোধে এগিয়ে আসলেই একটা সমাধানের পথ আবিষ্কার করা সম্ভব। সিরিয়ায়, আফগানস্থানে আমেরিকার পরাজয় থেকে যে ভয়ের বিস্তার হয়েছে, সম্মুখযুদ্ধে জড়াতে চাইবে না। প্রশ্ন হচ্ছে মুসলিমরা কি বাঁচতে চায়, বাঁচাতে চায়, নাকি বিশ্বের অস্ত্রের রাজনীতি নিজের স্বার্থে বাঁচিয়ে রাখতে চায়।
চীন-রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রির স্বার্থে ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ বাঁচিয়ে রাখবে, সমাধান আসবে না, করবে না। বিশ্ব একদিন যুদ্ধে যুদ্ধে শেষ হয়ে যাবে। শেখ হাসিনার মানবিকতা পথ দেখতে পাবে না। দেখলে বিশ্ব মানব উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারতো। আগে মানুষ, পরে ধর্ম বুঝতে পারতো। মানুষ ছাড়া ধর্মকে বাঁচানো যাবে না, আমার দেশের কাঠমোল্লাদের বোঝাবে কে। বোঝাবে কে ভারতীয় ঠাকুরদের। লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি