অঞ্জন রায়: ব্যাংককের সই ১১ এর এক রেস্তোঁরায় আমি তাকে দেখেছিলাম। হঠাৎ পরিচয়ে নাম জানতে চাইলে সে উত্তরে বলেছিলো, ‘আমাকে আলাদা কোনো নামে ডেকো না, আমার নাম প্যালেস্টাইন।’ সত্যিই ছেলেটি তার নাম বললো না আমাকে। আমি শুধু তার চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, দেখছিলাম দুই চোখে একসঙ্গে জমে আছে অনেক ঘৃণা আর প্রতিরোধ। তাকে শেষ প্রশ্ন করেছিলাম, কী করতে চাও তুমি? বিরক্তি আর ঘৃণার হাসিতে বললো, ‘যুদ্ধ করতে করতে মরতে চাই, চাই অন্তত সবাইকে জানিয়ে দিতে আমাদের যুদ্ধটা শেষ হয়নি, হবে না আমাদের স্বদেশকে মুক্ত করার আগে।’ তাকিয়ে দেখলাম তার চলে যাওয়া। কিশোরটি বেঁচে থাকলে এখন পূর্ণ যুবক। জানি না, এতোদিন বেঁচে আছে- নাকি শহীদ হয়েছে? শুধু ভাবছি সে বেঁচে থাকলে লড়ছে মাতৃভূমির জন্য।
সাহসী কিশোর, এই লড়াইটা শুধু তোমার একার না- আমাদেরও। মনে রেখো বঙ্গবন্ধু, চে গুয়েভারা, চেয়ারম্যান মাও, ইয়াসির আরাফাত, ক্ষুদিরাম বসু, মাস্টার দা আর তিতুমীরের প্রসারিত করতল তোমার লড়াইকে দেবে সাহস। সেই ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আমি নিজের চোখের জল মুছে তাকিয়ে ছিলাম তার চলে যাওয়ার পথের দিকে প্যালেস্টাইন অথবা বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম অথবা বলিভিয়া সবখানেই তোমার লড়াইয়ের সাথীরা আছেন, থাকবেন। স্বাধীনতা শব্দটির তো কোনো সীমান্ত নেই। আছে নীল আকাশের মতন ব্যাপকতা আর অনেক রক্ত মৃত্যুর দাম দেওয়া, দেশে দেশে শতকে শতকে। palestine_will_be_free ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :