সনত চক্রবর্ত্তী:[২] ফরিদপুরে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হয়েছে।
[৩] এ উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।কর্মসৃচীর মধ্যে ছিল সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও আলোচনা সভা।
[৪] ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুল হক ভোলা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক শামীম হক, জেলা যুবলীগের আহবায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিদূল রশিদ চৌধুরী রিয়ান প্রমুখ।
[৫] অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আওয়ামী এক দিনের সংগঠিত হয় নি, এটি মুক্তিযুদ্ধের দল, দলটি এখন সরকার গঠন করেছে। শেখ হাসিনা নেতৃত্বের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়ন দেখে কিছু কুচক্রী মহল আওয়ামী লীগের ও সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করছে। এই দেশ বিরোধীদের চিন্তিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
[৬] উল্লেখ, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১৭ মে। ১৯৮১ সালের এ দিনে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে বাংলার মাটিতে ফেরেন তিনি।
[৭] এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে পৌঁছান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
[৮] শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের হৃদয়ছোঁয়া ভালবাসার জবাবে সেদিন তিনি বলেছিলেন, বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিতে আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হতে আসিনি। আপনাদের বোন, মেয়ে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই
[৯] এদিকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শহরের চকবাজার জামে মসজিদে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মোনাজাত এবং শহরের অম্বিকা বলে জেলা আওয়ামী যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন