শাহীন খন্দকার: [২] বুধবার ছিলো বিশ্ব নার্সেস দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসমত আরা পারভীন বলেন, দেশে এখন সরাসরি করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত আছেন ১৪ হাজারের বেশি নার্স। সরকার প্রণোদনার তালিকায় রেখেছে ১৩ হাজার ৪৭২ জন নার্সকে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ২২টি হাসপাতালে মোট দুই হাজার ৫৭২ জনের প্রণোদনা মঞ্জুর হলেও বাকিরা অপেক্ষায় আছেন।
[৪] ইসমত আরা আরো বলেন, করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার জন নার্স। আক্রান্ত নার্সদের মাধ্যমে তাঁদের পরিবারের অনেকেও সংক্রমিত হয়েছে, মারাও গেছে। তিনি আরও বলেন, নার্স মানেই হাসপাতালে রোগীর পরম স্বজন, হাসপাতালে ভর্তি হলে প্রথমেই স্বজনরা রোগীকে সঁপে দেয় কর্তব্যরত নার্সের হাতে। ২৪ ঘন্টাই প্রয়োজনে তারা ছুটে আসেন রোগীর কাছে।
[৫] প্রায়শই স্পর্শে থাকতে হয় রোগীর। দেহের তাপমাত্রা পরিমাপ, কখনো ইনজেকশন-স্যালাইন দেওয়া, ডায়াবেটিস কিংবা রক্তচাপ পরিমাপসহ অনেক কাজই রোগীর স্পর্শে না গিয়ে সম্ভব নয়। ফলে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের চেয়েও বেশি রোগীর কাছে থাকেন নার্সরা। করোনা মহামারিতেও নার্সরা-ই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব নার্সেস দিবস।
[৬] দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নার্সেস; এ ভয়েস টু লিড, এ ভিশন ফর ফিউচার হেলথকেয়ার’। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের মহাসচিব ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, দেশে মোট ৭০ হাজারের বেশি রেজিস্টার্ড নার্সের মধ্যে সরকারি ৩৭ হাজার। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি পর্যায়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া দরকার। কারণ নার্সরা টানা ডিউটি করায় অনেকেই অসুস্থ থাকছেন। এর ওপর করোনা সংক্রমণ ভারতের মতো অবস্থায় চলে গেলে নার্সসংকট চরম আকার ধারণ করবে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান