শিরোনাম

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০২১, ০১:২৩ রাত
আপডেট : ১২ মে, ২০২১, ০১:২৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বকৃত নোমান: আল-আকসাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত কি কোনোদিন শেষ হবে?

স্বকৃত নোমান: না, শেষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধান, এই সংঘাতের অবসান হওয়ার নয়। কেননা এই সংঘাত ধর্মকেন্দ্রিক ইতিহাস থেকে উদ্ভূত। এই সংঘাত একইসঙ্গে ঐতিহাসিক, অতীন্দ্রীয়, আবেগময় এবং মনস্তাত্ত্বিক। মূল সমস্যা জেরুজালেমকে কেন্দ্র করেই। নবি দাউদ, সোলায়মান, ইব্রাহিম, ইসহাক, মুসা এবং ঈসা এই জেরুজালেমেরই নাগরিক ছিলেন। এক হাজার বছর এই নগরী ছিল ইহুদিদের, চার শ বছর খ্রিস্টানদের এবং তেরো শ বছর ছিল মুসলমানদের অধীন। হাজার হাজার লাশের বিনিময়ে আব্রাহামীয় এই তিন ধর্মানুসারী শাসকরা এ নগরী তাদের পদানত করেছিল।

এখানেই ইহুদিদের টেম্পল মাউন্ট, এখানেই মুসলমানদের ডোম অব দ্য রক ও আল-আকসা মসজিদ এবং এখানেই খ্রিস্টানদের চার্চ অব দ্য হলি সেপালচার। এখানেই যিশু খ্রিস্টকে হত্যা করা হয়েছিল কিংবা এখান থেকেই তিনি ‘অদৃশ্য’ হয়েছিলেন। খ্রিস্ট হত্যার বদলা নিতে খ্রিস্টানরা হাজার হাজার ইহুদিকে হত্যা করেছিল। হযরত মুহাম্মদ তো ‘আরশ আজিম ভ্রমণ’ বা ‘মিরাজে’ যাওয়ার জন্য মক্কা থেকে প্রথমে এই মসজিদুল আকসাতেই এসেছিলেন। তিন ধর্মাবলম্বীরাই বিশ্বাস করে এই জেরুজালেমেই পুনরুত্থান বা হাশর অনুষ্ঠিত হবে। তারা বিশ্বাস করে এখানেই বেহেশত ও জমিন মিশেছে, এখানেই খোদার সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে মানুষের।

জেরুজালেম বিশ্বাসের এক ভয়াবহ অগ্নিকুণ্ড। এই বিশ্বাসের ছাড় ইহুদি, খ্রিস্টান বা মুসলমানরা দেবে না। তাহলে সমাধান কোথায়? কীভাবে? কেউ তো এই ভূমির দাবি ছাড়তে রাজি নয়। রাজনৈতিকভাবে রাজি হলেও মনস্তাত্ত্বিকভাবে তো নয়ই। তাহলে? হ্যাঁ, সমাধান একটা আছে। যদি কোনো মহাপ্রলয় জেরুজালেমকে ধ্বংস করে গভীর সমুদ্রে পরিণত করে, জগৎশ্রেষ্ঠ কোনো ডুবুরিও যাতে কোনোদিন জেরুজালেমের একটা পাথরও ওই সমুদ্রে খুঁজে না পায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়