সুমাইয়া ঐশী: [২]আগস্টের আগেই মৃতের সংখ্যা ছাড়াবে ১০ লাখ।
[৩] ভারতে পরপর চারদিন দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যাও ৪ হাজারের গণ্ডি পার করে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে। এ পরিস্থিতি মোবেলায় নরেন্দ্র মোদি ও তার সরকারের অবদান ও ব্যর্থতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট। সেখানে কড়া ভাষায় মোদির ব্যর্থতাকে তুলে ধরা হয়েছে।
[৪] ল্যানসেটের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে বিশেষজ্ঞদের বারবার সতর্ক করার পরও এই পরিস্থিতিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি ভারত সরকার। দেশজুড়ে অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে, হাসপাতালে রোগীদের স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না। এ অবস্থায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে মার্চের শুরুতে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন গোটা ভারতে করোনার ‘খেলা শেষ’ বলে ঘোষণা করেছিলেন। এনডিটিভি
[৫] ল্যানসেটের মতে, ঐ সময় মূলত করোনা মোকাবেলার পরিবর্তে মোদি তার বিরুদ্ধে নানান টুইট মুছতেই ব্যস্ত ছিলেন। করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও কুম্ভ মেলার মতো বিশাল ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনেও ব্যাপক সভা-সমাবেশের আয়োজন করে পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছেন মোদি। তাছাড়া ভ্যাকসিনের যোগান নিশ্চিত না করেই ১৮ বছর বয়সীদেরও ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হয়েছে। ট্রিবিউন ইন্ডিয়া
[৬] বলা হচ্ছে, উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মতো বেশকিছু রাজ্যে অক্সিজেন স্বল্পতা ও হাসপাতালের বেড নিয়ে ব্যাপক হেনস্তার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এমনকি, যারা অক্সিজেন বা হাসপাতালের বেড দাবি করছেন, অনেক রাজ্যই তাদের জাতীয় সুরক্ষা আইন প্রয়োগ করে হুমকি দিয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। ল্যানসেট সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল