শাহীন খন্দকার: [২] করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে সারা দেশে চলছে লকডাউন। তবে ঈদকে উপলেক্ষে দোকান মালিক সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে শপিংমলগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে খুলে দেওয়া হয়। শপিংমলগুলোতে স্বাস্থবিধি কিছুটা মানলেও, বেচাকেনায় রমরমা ফুটপাতে মানা হচ্ছে না মোটেই।
[৩] মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীর পাড়া-মহল্লাসহ প্রধান সড়কের ফুটপাত এবং বিভিন্ন বড় বড় শপিংমলের সামনে জমজমাট হয়ে উঠেছে কেনাকাটা। কিন্ত ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই মানাছে না স্বাস্থ্যবিধি। সকাল থেকে সন্ধ্যারাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে মুখরিত ফুটপাতের দোকানগুলো। দম ফেলার সময় পাচ্ছেনা ফুটপাথের দোকানিরা।
[৪] মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষ ছুটছেন ফুটপাতের এসব দোকানে। বিশ্লেষকেরা আশংকা করছেন ঈদ বেচাকেনায় মানুষের অবাধ বিচরণে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে। গত কয়েক দিনে রাজধানী ঢাকার নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, গাউছিয়া, মোহম্মদপুর রিংরোড, তাজমহল রোডসহ জাপান সিটি গার্ডেন মার্কেট, কৃষিবাজার সর্বত্র জমজমাট এখন ঈদ বাজার।
[৫] রাজপথ কিংবা এপাড়া-ওপাড়ার ফুটপাথের দোকানগুলো ঘুরে তারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের ঈদ পোশাক। অপেক্ষাকৃত কম দামে পছন্দের জিনিস কিনতে চাকরিজীবীরাও ছুটে আসছেন এ দোকানগুলোতে। রাজধানীর ফুটপাথের দোকানগুলোর বিক্রেতারা জানালেন, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে বেচাকেনাও ততোই বাড়ছে।
[৬] মোহম্মদপুর ফুটপাথে শিশু ও মেয়েদের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকার রশিদ উদ্দিন। এখানে পোশাক-পরিচ্ছদ যে দামে বিক্রি হয় তা অন্যান্য বড় শপিং মলে বিক্রি হয় দ্বিগুণ দামে। রশিদ বলেন, মার্কেটের দোকানের ভাড়া গুনতে হয় অনেক বেশি।
[৭] তিনি বলেন ফুটপাথ তো আর তেমন নয়। তা ছাড়া আমরা সরাসরি বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে মালামালের লট কিনে আনি। আমরা কম দামে কিনতে পারি, তাই বিক্রিও করি কম দামে। কেনাবেচা বেশ ভালোই হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান