আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] মোট বৈশ্বিক গ্রিন হাউস গ্যাসের ২৭ শতাংশই আসে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের থিঙ্কট্যাংক রোডিয়াম গ্রুপের পরিচালিত নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে। বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের তালিকায় চীনের পরেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ১১ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ঘটিয়েছে। আর ভারত থেকে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ঘটেছে। তালিকায় দেশটি রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। বিবিসি
[৩] বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সমঝোতা না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। রোডিয়াম গ্রুপ আরও বলছে, গত তিন দশকে চীনে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ তিন গুণের বেশি হয়েছে। চীন বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় মাথাপিছু হারে দেশটিতে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কম।
[৪] ২০৬০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে চীন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে তার দেশ। এই সম্মেলনেই তিনি ২০৬০ সালে তার দেশকে কর্বিন নিরপেক্ষ করার ঘোষণা দেন।
[৫] চীন জ্বালানি হিসেবে কয়লার ওপর নির্ভরশীল। দেশটিতে ১ হাজার ৫৮টি কয়লা খনি রয়েছে। দেশটি খনিগুলো বন্ধ তো করছেই না, বরং নতুন নতুন খনি আবিষ্কারের চেষ্টা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :