আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]পরবর্তী এপিসেন্টার হতে পারে ছোট দেশটি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
[৩] নেপাল এমন এক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার সঙ্গে দেশটির মানুষ পরিচিত নন। হুহু করে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ, হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া ভীর, দেশটির প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশগুলোর কাছে সহায়তা চাইছেন। দেশটিতে প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যার ২০ জনের প্রতিদিন কোভিড শনাক্ত হচ্ছে। ২ সপ্তাহ আগে ভারতেও সংখ্যাটি একই ছিলো। সিএনএন
[৪] গত সপ্তাহান্তে নেপালের মোট পরীক্ষার ৪৪ শতাংশই পজিটিভ এসেছিলো। নেপাল রেড ক্রসের চেয়ারপার্সন ড. নেত্র প্রসাদ তিমসিনা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভারতে যা হচ্ছে তা নেপালের ভবিষ্যত ভয়াবহতার দিকে ইঙ্গিত করছে। আমাদের ভবিষ্যতও ভয়ানক হতে পারে।’
[৫] বিশেষজ্ঞরা, জনসংখ্যার ঘণত্ব বিবেচনা করে, ভারতের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পড়তে যাচ্ছে এমন ধারণা করেছিলেন। কিন্তু, বাংলাদেশ তা অতিক্রম করে এখন সংক্রমণ নিম্নমুখী। তবে এই ভবিষ্যতবানী কাজ করেছে নেপালের উপর।
[৬] নেপালের স্বাস্থ্যখাত খুব একটা শক্তিশারী নয়। মাথাপিছু চিকিৎসকের হিসেবে ভারতের চেয়ে তারা অনেক পিছিয়ে আছে। তাদের টিকা প্রদানের হারও ভারত থেকে কম। এখনও দেশটিতে বড় ধরণের পাবলিক ইভেন্ট, বিয়েশাদী বন্ধ হয়নি। ফলে তারা একটি বিপর্যয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।