স্পোর্টস ডেস্ক : [২] করোনাভাইরাসে আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর পর হতভম্ব করার মতো এক খবর পাওয়া গেলো। বিসিসিআইর দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের প্রধান জানালেন, একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ছদ্মবেশ ধারণ করে নয়া দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়েছিল এক সন্দেহভাজন জুয়াড়ি।
[৩] নয়া দিল্লিতে সদ্য হওয়া একটি ম্যাচে পিচ সাইডিং মানে ম্যাচ পাতানো বা জুয়ার উদ্দেশ্যে ভেতরের তথ্য পাচারের মতো ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান সাব্বির হুসেইন শেখাদাম খান্ডওয়াবালা। এখন পর্যন্ত এই মাঠে পাঁচটি ম্যাচ হয়ে গেলেও কোন ম্যাচে এমনটা হয়েছে তা জানাননি এই কর্মকর্তা।
[৪] বুধবার ৫ মে তিনি বলেন, আমাদের একজন এসিইউ কর্মকর্তা এক ব্যক্তিকে প্রায় ধরে ফেরেছিল এবং দিল্লি পুলিশের কাছে বিস্তারিত জানিয়েছে। ওই দুষ্কৃতিকারী তার দুটি মোবাইল ফোন ফেলে রেখে পালিয়ে যায়, এসিইউ দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে।
[৫] কী দেখে এসিইউ কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়েছিল জানতে চাইলে হুসেইন বলেছেন, সে একটা নির্ধারিত জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল এবং আমাদের এক কর্মকর্তা তার দিকে এগিয়ে গিয়ে জানতে চায়, কী করছো তুমি এখানে? সে বলে: আমি আমার বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলছি। তিনি আরও যোগ করেন, আমার কর্মকর্তা ওই নম্বরে তাকে আবার ডায়াল করতে পারে এবং তাকে ফোনগুলো দিয়ে দিতে বলে। ফোনটা নেওয়ার সময়ই ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। সন্দেহ হওয়ার আরেকটি কারণ তার দুটি মোবাইল ছিল।
[৬] গত ২ মে রাজস্থান রয়্যালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচ চলাকালে ভুয়া অ্যাক্রিডিটেশনধারী দুই ব্যক্তিকে ধরে দিল্লি পুলিশ। এই ব্যক্তিকেও পুলিশ আটক করতে পারে আশা হুসেইনের, আমি আত্মবিশ্বাসী যে তাকেও দুই এক দিনের মধ্যে পুলিশ ধরবে। সে ছোটখাটো জুয়াড়ি বলে মনে হয়েছে। সে তথ্যগুলো এমন কারও কাছে পাচার করে যে প্রভাবশালী জুয়াড়ি। এ কারণে আমরা দিল্লি পুলিশকে ঘটনা জানিয়েছি।
[৭] এই কর্মকর্তা আরও জানান, কোনও খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত জুয়াড়ির কাছ থেকে দুর্নীতির প্রস্তাব পাওয়ার ব্যাপারে জানাননি। মুম্বাই পর্বের সময় হায়দরাবাদের হোটেলে তিন জন সন্দেহভাজনকে জেরা করা হয়। কিন্তু দলের কোনও সদস্যের কাছে ঘেষতে পারেনি তারা। - আইপিএল
আপনার মতামত লিখুন :