শিরোনাম
◈ সে‌মিফাইনা‌লে হে‌রে বিশ্বকাপে তৃতীয় হ‌লো বাংলাদেশ, সোমবার ফাইনালে ভারতের মু‌খোমু‌খি চাইনিজ তাইপে ◈ সে‌মিফাইনা‌লে ইরান‌কে হা‌রি‌য়ে নারী কাবা‌ডি বিশ্বকা‌পের ফাইনালে ভারত ◈ ফের রাজশাহীতে রেলপথ অবরোধ, ৬ ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ◈ কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক, যে তথ্য জানালেন নাহিদ ইসলাম ◈ ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার ◈ গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০ বারের বেশি ভূমিকম্প, সতর্ক থাকার পরামর্শ ◈ দণ্ডিত হাসিনা–কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিক চিঠি ঢাকার ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: ভূমিকম্প আতঙ্কের মধ্যেই এবার ঘূর্ণিঝড়ের আভাস ◈ ভূমিকম্প আতঙ্ক : বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা ◈ ব্যক্তি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল

প্রকাশিত : ০৪ মে, ২০২১, ০৯:১৪ রাত
আপডেট : ০৪ মে, ২০২১, ০৯:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজীপুরে চাহিদা বাড়ছে হাতে ভাজা মুড়ির

আতিকুর রহমান: অনেকেই রুচির পরিবর্তনে হাতে ভাজা মুড়ির প্রতি আকৃষ্ট হন। আর তাদের চাহিদা মেটাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বগারপুর, বহেরাতলী, পাশর্^বর্তী বারতোপা, জৈনাতলী গ্রামে সারা বছরই হাতে মুড়ি ভাজা হয়।

ওইসব গ্রামের প্রায় ৩০টি পরিবার হাতে মুড়ি ভেজে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতি বছর হাজার হাজার মণ ধানের মুড়ি ভাজা হয় এসব গ্রামে। রমজান মাসে এর চাহিদা বেশি থাকে। বি”িছন্নভাবে আরও কয়েকটি গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে হাতে মুড়ি ভাজা হয়।

৫ মণ ধানের মুড়ি ভেজে ৫ জন শ্রমিক তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা মুজুরী পান। মুড়ির বেপারীরা ধান কিনে পরিবারের মধ্যে সরবরাহ করেন। পরে তারা ধান শুকানো, সেদ্ধ করা, ভাঙানো এবং সবশেষ মুড়ি তৈরীর কাজটি করেন। মুড়িগুলো ¯’ানীয় বাজারে সরবরাহ করা হয় না। এগেুলো রাজধানীর গাবতলী, আমিনবাজার, মিরপুর, কারওয়ানবাজার এলাকায় সরবরাহ করা হয়।

বারতোপা গ্রামের বানিছ সিকদার জানান, এলাকার মধ্যস্বত্বভোগী পাইকারেরা প্রতিবারে তাকে ১৫০ মণ ধান সরবরাহ করেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে রোদে শোকানো, সেদ্ধ করাসহ ১০ মণ ধান প্রক্রিয়া করতে তাদের এক মাস সময় লেগে যায়। পরে সর্বো”চ দুই দিনে তারা মুড়ি ভাজতে পারেন।

কালিয়াকৈরের বগারপুর গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে উদ্যোক্তা বিল্লাল হোসেন জানান, ইরি ও শাইল আবাদের সময় নাটোর ও বরিশাল থেকে বেপারীরা তাকে ধান সরবরাহ করেন। প্রতিবারে ২০ মণ ধান সরবরাহ করেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে তারা কয়েকজন উদ্যোক্তা একত্রে সমন্বয় করে ১৫ দিনের মধ্যেই মুড়ি সরবরাহ করতে পারেন। লোবল নিয়ে প্রতি বছর ১ হাজার মণ ধানের মুড়ি ভাজতে পারেন।

তিনি জানান, বাড়ি থেকে তিনি কিছু মুড়ি পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করেন। পাইকারী কেজি ৮৫ ও খুচরা কেজি ১’শ টাকা বিক্রি করেন। ভালো মানের ধান হলে মুল্য বেশি হয়ে থাকে। ৪০ কেজি ধানে ২৩/২৪ কেজি মুড়ি হয়। একেক সময় একে মূল্যের ধান সরবরাহ করা হয়। ধানের মূল্য সাধারণত ১৪’শ টাকা মণ হয়ে থাকে। ভাল মানের ধানের মূল্য ১৭/১৮’শ টাকা মণ হয়ে থাকে। প্রতিবারে আড়াই’শ কেজি মুড়ি ডেলিভারী করতে পারেন।

মুড়ি শ্রমিক মৃত কেরামত আলীর স্ত্রী রূপজান (৬৫) বলেন, যে শ্রমিক ভাজা চাউল গরম বালিতে মেশান তার মুজুরী ৫’শ টাকা। অন্যান্য সহযোগীদের ৪’শ টাকা করে দেওয়া হয়। মুড়ি শ্রমিক শাহিদা খাতুন (৩৮) জানান, উদ্যোক্তা আর শ্রমিকদের মধ্যে সমন্বয় আছে। আমরা কষ্ট করে প্রতি সাড়ে ৫’শ মণের বিপরীতে ওই পরিমাণ পারিশ্রমিক পাই। এতে দেখা যায় ধান ভাঙানো বাদে একেকজন গড়ে ৫’শ টাকা মজুরী পান। যা উদ্যোক্তাসহ ৫ জন শ্রমিকের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। শ্রমিক বেশি হলে মজুরী কমে আসে এবং সময় কম লাগে। নিজেরা ধান কিনে মুড়ি ভাজতে পারলে ভালো লাভ পাওয়া যেত। কিš‘ মূলধন না থাকায় এলাকার অর্ডার সরবরাহকারী ও বেপারীদের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভোক্তা পর্যন্ত মুড়ি পৌঁছাতে মাঝখানে চারজনের হাত বদল হয়।

এ বিষয়ে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের শ্রীপুর “পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে”র শাখা ব্যব¯’াপক শাহীনুর নাহার মৌরী বলেন, তৃণমূলের উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়া হয়। তবে এককভাবে সমিতির বাইরে কাউকে ঋণ দেওয়া হয় না। ঋণ গ্রহীতাদের ৪০ জনের একটি সমিতির আওতাভুক্ত হতে হয়। এর মধ্যে নারী ও পুরুষ সদস্যের অনুপাত হতে হয় অর্ধেক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাঙ্খিত নারী সদস্য পাওয়া না গেলে সেখানে পুরুষ সদস্য দিয়েই সমিতি গঠণ করা হয়। এ অর্থ বছরে সমিতি গঠণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়