শাহীন খন্দকার: [২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা.নাসিমা সুলতানা আরো বলেন, সারাদেশে আইসিইউ চিকিৎসা এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন। তবে এই গ্রুপের চিকিৎসক সংকট থাকলেও বর্তমানে চালুকৃত সকল আইসিইউতেই চিকিৎসক দেওয়া হয়েছে। আমাদের টেকনোলজিষ্ট সংকট রয়েছে যা সমাধানের লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, এবং খুব দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে।
[৩] নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ডিপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, চলতি অর্থ বছরে পাচঁশ নার্সকে আর্ন্তজাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যারা করোনায় আক্রান্ত হওয়া রোগিদের চিকিৎসা সেবায় সম্পৃক্ত থাকবেন। ইতিমধ্যে ৫৩০ জন নার্স করোনা চিকিৎসায় বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ইউ এন এফ পি এর আর্থিক সহযোগিতায় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর থেকে।
[৪] এছাড়া দেশে করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে ৪ টি সেণ্টারে ৩০ জন করে নার্সকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের অন্যান্য বিভাগেও একটি করে প্রশিক্ষন সেণ্টার গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলেছে বলে ড.মো. আব্দুল লতিফ জানান।
[৫] এদিকে ড. মো. আব্দুল লতিফ আরও বলেন, করোনা মহামারিতে আইসিইউ বেডের চিকিৎসা সেবায় ঢাকা মহানগরী ছাড়াও দেশে প্রশিক্ষিত নার্স রয়েছে ১ হাজার ৫০০ অধিক। ২০১৮-১৯ সালে আইসিইউর ওপর থাইল্যাণ্ড ও শ্রীলঙ্কা থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ৭৯ জন নার্স ।
[৬] প্রোগ্রাম ম্যানেজার আরো বলেন,রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩ হাজার ৩৪৭জন আইসিইউর ওপর বিশেষ প্রশিক্ষিত নার্স রয়েছে। মাও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স রয়েছে ১ হাজার ১৪৫ জন। শিক্ষক রয়েছে ৩৮০ জন এবং সারাদেশে মোট নার্স রয়েছে ৩৫ হাজার ৬৪ জন। এদিকে করোনাকালীন সময়ে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে সারাদেশে ২৩ জন নার্স মারা গেছেন।