কেরাণী আর মূর্খ বানিয়ে রাখার শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক করা জরুরি
আরমান রহমান, ফেসবুক থেকে, পোস্ট সেহেরি চিন্তাভাবনাঃ আপনাদের কথা জানি না, কিন্তু আমি কোন মৌলিক চিন্তা বেশিদুর এগিয়ে নিতে পারি না. আমার কাজের ক্ষেত্রে সাইন্স বিষয়ক চিন্তা ও এক ই, তবে হ্যা, এদার কা মাল ওদার, অথবা হাল্কা আইডিয়া পেলে সেটাকে নিয়ে নাড়াচাড়া - এহেম, সে অন্য ব্যাপার. চিন্তার এই ডরফিজম আমি আবিস্কার করি সুইডেনে পড়তে গিয়ে. সব ক্ষেত্রেই নিজেকে চিন্তা করে কিছু লেখতে হোত, আমাদের মত বই থেকে মুখস্ত করে কিছু লেখার জো ছিল না।
আমার মনে হয় এইক্ষেত্রে আমাদের সময়ের তৈলাক্ত বাশ আর ছিদ্র পাত্রের ভুমিকা অপরিসীম।
আমার ১৪ বছরের মেয়ের বিজনেস স্টাডিতে এসাইনমেন্ট দিয়েছে বাবা মা সহ চার জনের একটা পরিবারের সাফারি টুরের বাজেট করে আনতে. সে একটা এক্সেল শিট বানিয়েছে সেখানে প্রাইস ব্রেক ডাউন করা হয়েছে, এই নিয়ে তার আগ্রহরের শেষ নাই, কোন দেশ থেকে কোথায় যাবে, কোন হোটেলে থাকবে ইত্তাদি. এদিকে আবার এই পরিবারের বাবা মা নিম্ন বেতনে চাকরি করে কাজেই সেই কথা মাথায় রেখে বাজেট ঠিক করতে হচ্ছে. সাফারি ট্যুর কোন দেশে করলে কম খরচে করা যাবে, কোন এয়ালাইন্স কম টাকায় নেয়, সে এক এলাহী কারবার. ওর উতসাহ দেখে ভাবছিলাম দেশে কি এখনো ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মাদ বীন বখতিয়ার খীলজী মুখস্ত করতে হয়? নাকি এই দেশের মত বলে " ইজিপ্সিয়ান সভ্যতার উপর আগামী সপ্তাহে প্রেসেন্টেসন রেডি করে আনবে"? বাচ্চারা নেট ঘেটে, বই পড়ে ইজিপ্সিয়ান সভ্যতা জেনে পাওয়ার পয়েন্টে স্লাইড বানায়, তারপরে ক্লাসের সামনে প্রেসেন্ট করে.
আশা করি কেরানী আর মূর্খ বানিয়ে রাখার শিক্ষা ব্যাবস্থা এতদিনে আধুনিক হয়েছে. এখন আর কাউকে ' আই বেগ মোস্ট রেস্পেক্টফুলি' লেখে 'ছূটি চাহিয়া আবেদন করিতে' হয় না।