খালেদ মুহিউদ্দীন: প্রাইমারি স্কুলে আমাদের একটি গল্প পড়তে হতো। এক যে ছিলো বিশাল ধনী এক মানুষ। কয়দিন ধরে তার হাড় মড়মড় ব্যারাম হয়েছে। হাজার বৈদ্য লাখ কবিরাজের পরামর্শ মেনেও আরাম হলো না তার, দিনে দিনে আরও ব্যথায় একেবারে বিছানায় লম্বালম্বি। ফকির ধরনের একজন সব দেখে টেখে বললেন, সুখি মানুষের জামা গায়ে দিলেই কেবল এ ব্যারাম সারবে। চারদিকে চারজন গিয়েও ফিরে এলো। সুখি লোক পাওয়া যায় না। এরপর পুরস্কারের লোভে ১০ দিকে ছুটে তবে সুখি লোকের দেখা মিললো। বনের ধারে কোনো এক নদীর কিনারে থাকে হাসিহাসি সুখি লোক; বালকই বলা চলে। যতো টাকা চাও নাও আর বিনিময়ে তোমার গায়ের জামাখানা দাও। কাতর এ আহ্বানে ছেলেটি জানালো তার কোনো জামা নাই।
আমাদের জন্য মোরাল অব দ্য স্টোরি হলো, সুখি লোকের গায়ে জামা থাকে না। আমাদের দুই-তিনটে করে জামা ছিলো। আব্বার তিন চারটা অফিস যাওয়ার শার্ট। আম্মারও ঘরে বাইরে মিলিয়ে গোটা পাঁচেক শাড়ি। কৌতূহল চেপে না রেখে আব্বার কাছে জানতে চাইলাম, আমরা সবাই অসুখি, তাই না? অফিসফেরত আব্বা জানতে চাইলেন, আম্মার কাছে, এগুলা কী জাতের প্রশ্ন? আম্মা আমাদের পড়াতেন, বললেনÑ বইয়ে আছে সুখি লোকের গায়ে জামা থাকে না। ও তাই, চা দাও। আব্বা মনে হয় ভাবতে বসেন। ঘরের রেডিও হঠাৎ বেজে ওঠে, কে যেন গায়, সবাই তো সুখি হতে চায় তবুও...। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :