শিরোনাম
◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন

প্রকাশিত : ০১ মে, ২০২১, ১২:১৫ রাত
আপডেট : ০১ মে, ২০২১, ১১:১৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রম্য: অফিস বন্ধ থাকায় ঘুষ না পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তারা (পত্রিকার কাটিং ভাইরাল)

ডেস্ক রিপোর্ট : রম্যরচনামূলক একটি পত্রিকার কাটিং (অফিস বন্ধ থাকায় ঘুষ না পেয়ে...) গত কয়েকদিন ধরে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে শেয়ার করছেন । ইতোমধ্যে পোস্টটি ভাইরাল হয়ে গেছে। তবে কোন পত্রিকার কটিং এটি, তা কেউ বলতে পারছে না!!!। আমাদেরসময়.কমের পাঠকদের জন্য পোস্টটি নিচে দেওয়া হলো:

‍‍‌‌জীবন-যৌবন ভালো লাগে না বলে বড় হওয়ার আগেই বুড়ো হয়ে যেতে চান। ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কবির সাহেব। হঠাৎ করেই নিজেদের বাসার প্রতিটি রুমের জন্য দলিলের নিয়ম চালু করেছেন। ১০০ টাকার দামের স্ট্যাম্পে সই করে লাখ টাকার বিনিময়ে সেই দলিল হস্তান্তর করছেন বাসার অন্যদেরকে। পরের দিনই আবার দলির রিনিউ করার কথা বলে যার পকেটে যা টাকা পাচ্ছেন, তাই নিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে পাসপোর্ট অফিসের দালালির ভাগ পাওয়া সিনিয়র অফিসার খায়ের সাহেব লকডাউনের চার দিন পর থেকেই ওয়াশরুমের সামনে একটা চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে পড়েছেন। বাসার কেউ ওয়াশরুমে যেতে হলে তাকে ১০০ টাকা করে দেয়া লাগছে। তার এই মানসিক ভারসাম্যহীনতার কথা বিবেচনা করে বাসার লোকদের তা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় ছিলো না।

শুধু কবির সাহেবা খায়ের সাহেব না। দেশ লকডাউন হওয়ার পর থেকে বাসায় থাকা ও বাসায় থেকে অফিস করা বেশিরভাগ ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তাই এমন কঠিন মানসিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। একটাই কারণ, লকডাউন হওয়ার পর থেকে ঘুষের টাকা আর চোখে দেখছে না, ঘুষের টাকার ঘ্রাণও নিতে পারছেন না তারা।

সারা দেশের ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তারা এমন কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং সময় পার করলেও তাদেরকে সহযোগিতা করতে সরকারের বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কেউই এগিয়ে আসছেন না। এভাবে চলতে থাকলে করোনার পর দেশ আর কোন সুস্থ স্বাভাবিক ঘুষখোর অফিসার পাবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঘুষখোর কল্যাণ সমিতি (ঘুকস) সভাপতি।

এই বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঘুকস এর সভাপতি বলেন, সামনের সরকারি কাজগুলো ঠিকঠাকভাবে করার জন্য এদিকে বিশেষ নজর দেয়া উচিত। ঘুষখোর অফিসাররা যদি এভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে তাহলে সরকারি ফাইলগুলো গুরুত্ব নিয়ে আর কেউই বের করে করে দিবে না। দেশ পড়তে পারে এক কঠিন সংকটে।

ঘুষখোরদের কল্যাণের জন্য সমিতি থেকে কী করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা বেরও হতে পারছে না, আমাদেরকে ঘুষও দিতে পারছে না, আমরাও কিছু করতে পারছি না।

ঘুষখোরদের এমন মানসিক সমস্যা নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মেহতাৰ খানমের ফেক আইডির সাথে। তিনি আমাদের জানান,

প্রতিদিন একাধিকবার করা পছন্দের কোন কাজ হুট করে দীর্ঘদিন করতে না পারলে মানুষ তার শ্যাডো কাজ করে নেশা মেটাতে চান। সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও তা হচ্ছে।

এর চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসার সিন্দুকে রক্ষিত ঘুষের টাকা থাকলে শুকে দেখা যেতে পারে। এতে সাময়িক সুস্থতা আসতে পারে। শ্যাডো ওএসডিও বেশ কাজের। বাসার একজনকে ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়ে ঘুষ খেয়ে ধরা খাওয়ার অপরাধে ট্রান্সফার বা সাময়িক বরখাস্তের নাটক করলে মাসখানেক সুস্থ থাকবেন। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রতিদিন সরকারের পক্ষ থেকে একটা নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট ঘুষের টাকা ও ঘরের জন্য বড় বড় মাছ, মুরগিসহ কিছু বাজার পাঠালে ভালো।

লেখক: কলামিষ্ট ও সাবেক প্রকৌশলী KeppelFELS, Singapore।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়