শরীফ শাওন: [২] গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নেতারা বলেন, শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য শ্রমিকের খাদ্য, জীবন, স্বাস্থ্য এবং চাকুরির নিরাপত্তা নিশ্চিত; করোনায় ঝুঁকিভাতা; ২০ রোজার মধ্যে মূল মজুরির সমান বোনাস ও বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।
[৩] শুক্রবার সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. মন্টু ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার যৌথ বিবৃতিতে বাঁশখালী, রানা প্লাজা ও তাজরিনসহ সকল শ্রমিক হত্যার বিচার; নিহত শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন অনুসারে ক্ষতিপূরণ; অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত; সংবিধান ও আইএলও কনভেনশন অনুসারে শ্রম আইন সংশোধন; গার্মেন্ট শ্রমিকদের জীবন ধারণের উপযোগী মহার্ঘ ভাতা এবং শ্রমিকের রেশন, বাসস্থান, চিকিৎসার জন্য আসন্ন বাজেটে বরাদ্দেরও দাবি জানান।
[৪] বিবৃতিতে শ্রমিক নেতারা বলেন, একের পর এক কালাকানুন ও আইনের বিধিবিধানের মাধ্যমে শ্রমিকদের অধিকার এবং সুযোগা-সুবিধা হরণ করা হচ্ছে। এখনো অধিকাংশ শ্রমিক মে দিবসের সবেতন ছুটি পায় না। শ্রম আইন অনুসারে সুযোগ সুবিধা, চাকুরি ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা এবং অবাধে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার থেকে শ্রমিকরা বঞ্চিত। বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য, বাড়ি ভাড়া ও আবাসন সংকটে শ্রমিকরা বিপর্যস্ত। নারী শ্রমিকরা বৈষম্য ও যৌন হয়রানির শিকার। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি আজও উপেক্ষিত।
[৫] এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে দালালদের খপ্পর থেকে মুক্ত করে, শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গী সম্পন্ন স্বাধীন ও বিপ্লবী ধারায় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।