মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহী বিভাগে বেড়ে গেছে করোনা নমুনা পরীক্ষার চাপ। এখন শুধু রাজশাহী ও বগুড়ায় বিভাগের আট জেলার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব নমুনা পরীক্ষা সম্ভব না হওয়ায় ঢাকাতে পাঠাতে হয়। এ অবস্থায় রাজশাহী বিভাগের জন্য বরাদ্দ তিনটি পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন জনবল সংকটের কারণে রাজশাহী তা নিতে পারছে না।
[৩] রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) নামে এই মেশিনটি বরাদ্দ হয়েছে। এছাড়া পাবনা মেডিকেল কলেজ ও বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) একটি করে পিসিআর মেশিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া ও রাজশাহীতে আগে থেকেই পিসিআর মেশিন থাকলেও নতুন পাচ্ছে পাবনা। এই জেলার নমুনা এখন কখনও রাজশাহীতে আবার কখনও বগুড়ায় পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
[৪] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রামেকে নতুন পিসিআর মেশিন স্থাপনের দায়িত্ব গণপূর্ত বিভাগের। কিন্তু নতুন আরেকটি ল্যাব স্থাপনে আগ্রহ দেখাচ্ছে না রামেক। নতুন ল্যাবের জায়গা নির্ধারণ না হওয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তর কোন কাজও শুরু করতে পারেনি। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বিষয়টি আলোচিত হয়। সভায় গণপূর্তের পক্ষ থেকে নিজেদের প্রস্তুতি থাকার কথা জানানো হয়।
[৫] জানতে চাইলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগের জন্য নতুন তিনটি পিসিআর মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, পাবনা মেডিকেল কলেজ ও শজিমেকে এগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর এসব মেশিন বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করছে। কাজ শেষ হলেই মেশিন চলে আসবে। কিন্তু রাজশাহীর মেশিনটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এটা দূর করা গেলে আগামী একমাসের মধ্যেই মেশিনটি চালু করা যাবে।’
[৬] তিনি বলেন, ‘পাবনা ও বগুড়ায় ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। তবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এটির জায়গা নির্ধারণ করে দেয়নি। তাঁরা এটি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দে আছে এটি নিবে কী নিবে না। মেশিনটি রাজশাহীর অন্য কোথাও বসানোরও সুযোগ নেই। রামেক না নিলে এটি অন্য কোন জেলায় চলে যাবে।