আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ৫ বছরে ৩ আসন থেকে শতাধিক, প্রতিবেশি রাজ্যটিতে হিন্দুত্বের বাড়বাড়ন্তের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
[৩] শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নিজ হাতে গড়া ভারতীয় জনসংঘের আদর্শের উত্তরসুরী হিসেবে গড়ে উঠে ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপি। তবে বঙ্গভূমিতে শ্যামাপ্রসাদের আদর্শ কখনও পাত্তা পায়নি। বাঙালির হাতে গড়া দলটি চিরকাল পশ্চিমবঙ্গে অচ্ছ্যুৎ ছিলো। শ্যামাপ্রসাদের দল বাঙালির কাছে হয়ে পড়ে বিদেশিদের পার্টি, গুজরাতিদের পার্টি।
[৪] পশ্চিমবঙ্গে কখনই বিজেপি একটি আসনও পায়নি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ৩টি আসন পেয়ে পশ্চিমবঙ্গে পা শক্ত করে তুলতে শুরু করে গেরুয়া শিবির। তারা তখনই রীতিমতো শপথ নেয়, পশ্চিমবঙ্গকে দখলে আনতে হবে। সে অনুযায়ী কাজও শুরু করে তারা। বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণাকে পুঁজি করে বিজেপি। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়, মুসলিমবিরোধী প্রচারণাও।
[৫] ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যটিতে ১৭টি আসন পেয়ে নিজেদের আগমনীবার্তা দিয়েছিলো হিন্দুত্ববাদী দলটি। বিশেষত দুই দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের মতো জেলাগুলো, যেখানে ধর্মীয় বিভাজন কখনও ঠাঁই পায় না, সেগুলোতে বিজেপির বিজয়ে শঙ্কিত হয়েছিলেন অনেকেই। সর্বশেষ নির্বাচনের বুথ ফেরত জরিপ বলছে বিজেপি যদি এবার হারেও, তবে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
[৬] বিজেপি সংশ্লিষ্টরা এটিকে বড় বিজয় বলে মনে করছেন। কারণ ভারতের স্বাধীনতার পর এই রাজ্যটিকে ভারতের সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক ৪ রাজ্যের একটি মনে করা হতো। বাকি দুই রাজ্য, আসাম ও ত্রিপুরায় এখন গেরুয়া নিশান উড়ছে। কেরালাকে এখনও স্পর্শ করতে পারেনি দলটি। তবে পশ্চিমবঙ্গের হিসেব আলাদা। এটি কতোটা জরুরী, তা বুঝতে নির্বাচনী প্রচারণায় বারবার সেখানে মোদীর আগমনই তা নির্দেশ করছে। পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া ঝাণ্ডা কখনও ওড়ে না, কিন্তু উড়তে কি বেশি দেরী আছে? সম্পাদনা : রাশিদ