সমীরণ রায়: [২] হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাদের বিরুদ্ধে নৈতিক পদস্থলন ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। একই সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে খেলাফত মজলিসকেও নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।
[৩] বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইসলামী ফ্রন্ট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এতে ইসলামের নামে নৈরাজ্যের প্রতিবাদ ও বাংলাদেশে রাজনৈতিক-ধর্মীয়ক্ষেত্রে চলমান অস্থিরতা নিরসনকল্পে সাত দফা দাবি সম্বলিত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়।
[৪] সংগঠনের চেয়ারম্যান এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব এম এ মতিনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ।
[৫] ৭দফার অন্য দাবিগুলো হলো-জঙ্গি সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করা, কওমি মাদ্রাসাকে অডিটের মধ্যে এনে সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা, আলিয়া-কওমি উভয় ধারাকে অভিন্ন শিক্ষানীতির আলোকে পরিচালনা, কওমি হেফাজতি জঙ্গিদের অর্থ ও মদদদাতা সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা, খেলাফত মজলিসের নিবন্ধন বাতিল, নারী নিপীড়ক, ধর্ষক, হত্যাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে ওঠে দ্রুত আইনে সর্বোচ্চ সাজার ব্যবস্থা করতে হবে।
[৬] লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী নয় তারাই ইসলামের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। দেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাজাকার, আল বদর, আশ শামস বাহিনীর বিচার হলেও একাত্তরে একই রকম যুদ্ধাপরাধে যুক্ত ওহাবী মতাদর্শী কওমি মুজাহিদ বাহিনীর বিচার না হওয়ায় তারা এদেশে মধ্যযুগীয় কায়দায় তালেবানি মডেলে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে।
[৭] এতে ইসলামী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে সাময়িক চুক্তিবদ্ধ বিয়ে হারাম ঘোষণা দিয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশের শীর্ষ ৫৫১ জন আলেম প্রেরিত বিবৃতির সঙ্গে একাত্মতাও পোষণ করা হয়।