কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] গিনি বিসাউয়ের রাষ্ট্রপতি উমরাও মোকতার সিসোকো এমবালোর কাছে তার পরিচয় পত্র পেশ করেছেন পর্তুগালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান।
[৩] বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ এবং গিনি বিসাউয়ের ঐতিহাসিক সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করে বলেন যে উভয় দেশই মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং একইসঙ্গে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করেছে।
[৪] অতীতে দুই দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক না থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে বলেও রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
[৫] বাংলাদেশে গিনি বিসাউয়ের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত পাঠানো হলে উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে রাষ্ট্রদূত মত প্রকাশ করেন।
[৬] বাংলাদেশ থেকে সুলভ মূল্যে উন্নতমানের তৈরি পোশাক, ওষুধ সামগ্রী, সিরামিক, ইলেক্ট্রনিকস, সফটওয়্যার, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও জাহাজ আমদানি করতে পারে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
[৭] বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন’র আওতায় বাংলাদেশ ও গিনি বিসাউ গ্রামীণ উন্নয়ন এবং কৃষিখাতে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
[৮] জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক ইস্যুতে বিভিন্ন বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলোতে দু’দেশের একযোগে কাজ করার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
[৯] রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘ এবং ওআইসি এর মতো বহুপাক্ষিক সংস্থায় গিনি বিসাউয়ের অব্যাহত সমর্থন প্রত্যাশা করেন।