ইসমাঈল ইমু:[২] ঢাকা সফররত চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি মঙ্গলবার সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এর সঙ্গে সাক্ষাতে গেলে এ সময় তারা পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন, সামরিক প্রশিক্ষণ বিনিময় ও সশস্ত্র বাহিনী পর্যায়ে নিয়মিত মত বিনিময়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর।
[৩] সেনাপ্রধান উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক বজায় ও ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় পারস্পরিক সহযোগিতার পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় চীন সহযোগিতা করায় ধন্যবাদ জানান।
[৪] সেনাপ্রধান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির আলোকে ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়"’ উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সকলের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর।
[৫] চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
[৬] তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
[৭] বাংলাদেশ-চীনের সুসম্পর্কের গভীরতা ও ব্যাপ্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ককে আরো উচ্চতর স্তরে নিয়ে যেতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের ভিশন-২০৪১ অর্জনে চীনের সহযোগিতার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
[৮] রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবর্তন কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন এবং এক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
[৯] জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি এর নেতৃত্বে চীনা সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি দলটি সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সাক্ষাতের আগে ঢাকা সেনানিবাসস্থ শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদৎ বরণকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।