খালেদ মুহিউদ্দীন: বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের সঙ্গে আছে বলে করোনার জন্যও আমাদের অনুভূতি তৈরি হয়েছে। আমার কথা কাউকে সেই অনুভূতিতে আঘাত দিতে পারে ধরে নিয়ে আগাম মাফ চেয়ে রাখলাম। তো কথাটা বলেই ফেলি। আসুন আমরা নিজেদের বা অন্যদের ভয় দেখানো বন্ধ করি। আমরা নিশ্চয়ই এতোদিনে বুঝতে পেরেছি যে, এতো ছোট একটা দেশে এতো লোকের পক্ষে ঘরে থাকা সম্ভব না। আর ঘর? ভাইরে আমরা এক বাথরুম ১০ পরিবার ব্যবহার করি আর এক রান্নাঘরে ২০ পরিবার। আমাদের অনেকেরই দিন আনি দিন খাই। তাই আমাদের বাইরে বের হতেই হবে।
যাদের একক বাসা আর নিয়মিত আয়ের ভরসা আছে তাদের প্রতি কাতর অনুরোধ, অন্যের আচরণ নিয়ে হাসার আগে একটু বাস্তবতাও ভাইবেন। মানুষ মরণশীল আর ইন্ডিয়া অনেক মানুষের দেশ। যেকোনো সময়ই শ্মশানের ছবি তুললে অনেকগুলো চিতা জ্বলতে দেখার কথা। তাই ওই দেশের কথা বলে এইখানে আর ডর দেখাইয়েন না।
আরেকটা বিষয় করোনা হইলে, এমনকি সামান্য শ্বাসকষ্ট হইলেই আপনার অক্সিজেন লাগবো এমন ভাইবেন না। বরং এই নিয়া বেশি দুশ্চিন্তা কইরা আপনের অক্সিজেন গ্রহণক্ষমতা কমে যেতে পারে।
সবশেষ অনুরোধ, আপনারা এতো মৃত্যুসংবাদ ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার কইরেন না। মানে পরিবারের কেউ হইলে বা আপনার প্রিয় বন্ধু বা মান্যগণ্য কেউ মারা গেলে আর আপনে চাইলে অবশ্যই দেবেন। কিন্তু খালি ট্রেন্ড মাইনা খালাত বোনের চাচা শ্বশুরকেও করোনা নিয়ে গেলো ধরনের স্ট্যাটাস না দিলে ভালো হয় আর কী! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :