রাশিদুল ইসলাম : [২] ওয়াশিংটনের ইন্সটিটিউট অফ হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভোল্যুশন-এর গবেষকরা বলছেন মে থেকে আগস্ট- এর মধ্যে ভারতে তিন লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটবে। কানপুরের আইআইটির গবেষকরা এই কথা মানছেন যে, মে মাসের মাঝামাঝি ভারতে কোভিড আক্রমণ তুঙ্গে পৌঁছাবে। কিন্তু দ্রুতগতিতে উঠে মে মাসের শেষের দিকে হঠাৎ নেমে যাবে এই সংক্রমণের হার। স্প্রিঞ্জার ডটকম
[৩] দিল্লিতে একটি পার্কিং লটের কাছে সার দিয়ে চিতা সাজানো। একের পর এক কোভিডে মৃত রোগীর দেহ আসছে। জ্বলে উঠছে চিতা। চিতা নেভেনি। মৃত্যুও থামেনি। আবারও একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড করল দিল্লি। দেহ দাহ করার জায়গা নেই, কবরস্থানগুলিও ভরে উঠেছে। গণকবর খোঁড়া হচ্ছে। দি ওয়াল
[৪] গত বছর ঠিক এমনই ছবি দেখা গিয়েছিল নিউ ইয়র্কে। শয়ে শয়ে মৃতদেহ কবর দেওয়ার জন্য গণকবর খোঁড়া হচ্ছিল। ঠিক এমনই পরিস্থিতি এখন নয়াদিল্লিতে। সরকারি হিসেবে একদিনে ২৪ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ ঘটছে। রাজধানীতে এখন ভাইরাস সক্রিয় রোগীর ৯২ হাজারের বেশি।
[৫] হাসপাতালে কোভিড বেড নেই, মেডিক্যাল অক্সিজেনের স্টোর প্রায় শূন্য, স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল ছবি দেখিয়ে দিচ্ছে হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলির বাইরে রোগীদের লম্বা লাইন। জায়গার অভাবে ফুটপাতেও ঠাঁই নিতে হয়েছে সঙ্কটাপন্ন কোভিড রোগীদের। আপনজনদের ভর্তি করাতে না পেরে হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে হাউহাউ করে কাঁদছে মানুষ। দিল্লির সবচেয়ে বড় শ্মশান নিগমবোধ ঘাটে মৃতদেহ সৎকারের লাইন লেগে গেছে। অনেক দেহ সৎকার করাই যায়নি। একই অবস্থা কবরস্থানগুলিতেও। অনবরত এক্সক্যাভেটরে মাটি খুঁড়ে নতুন কবর দেওয়ার জায়গা তৈরি করতে হচ্ছে।
[৬] পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতার ফলে কোভিড পরিস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্বাচনের জন্য রাজ্যে ২ লাখ বাইরের পুুলিশ ফোর্স, বিজেপির লক্ষাধিক লোক অথচ নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল শেষ তিন দফায় নির্বাচন একসঙ্গে করা।