ডেস্ক রিপোর্ট : চার দেশ থেকে একযোগে মিসাইল, রকেট এবং ড্রোন হামলার শঙ্কায় আছে ইসরাইল। দেশটির 'দ্যা ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্যাডিজ' থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। 'নাথিং রিমেইনস দ্যা সেম' শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং কৌশলগত স্থাপনাগুলো বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে একযোগে হামলার শিকার হতে পারে।
মিডলইস্ট মনিটর জানিয়েছে, প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উদি দেকেল। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে। তুলনামূলক আশঙ্কাজনক জায়গুলোর নিরাপত্তায় যথাযথ বিনিয়োগ করা হচ্ছে না।
'ইসরাইল হাইয়ুম' পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি ভূমিতে ব্যাপক মিসাইল হামলার শঙ্কা এখন মিডিয়া এবং জনগণের প্রতিদিনের আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গুরুতর এই পরিস্থিতি এটা নির্দেশ করছে যে, আমাদের বিরুদ্ধে প্রচুর অস্ত্র তাক করা আছে। এরমধ্যে রয়েছে সিরিয়া এবং লেবাননে মিসাইল ও ড্রোন, ইরাক এবং ইরানে ব্যালিস্টিক রকেট এবং ক্রুজ মিসাইল। এর সংগে যুক্ত হতে পারে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ড্রোন এবং মর্টার শেল। সুসঙ্গত এই শক্তির দ্রুত অভিযান পরিচালনার জন্য মিসাইল, রকেট, ড্রোন প্রস্তুত আছে; যা দিয়ে একযোগে ইসরাইলে ব্যাপক হামলা পরিচালনা করতে পারবে।
প্রতিবেদনে বেশ কিছু টার্গেটকে 'গুরুত্বপূর্ণ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্য রয়েছে- এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারিস, হানিফা শহরের পরিশোধনাগারগুলো, বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ জ্বালানি অবকাঠামো, প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, দেশটির পার্লামেন্ট- নেসেট, এয়ারপোর্ট, বিমানবাহিনীর ঘাঁটি, সমুদ্র বন্দর, সেনা ঘাঁটিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
দেকেল তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, শত্রুপক্ষ যদি একযোগে বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে মিসাইল ছুড়তে থাকে তাহলে ইসরাইলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সেগুলো ঠেকানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। আর তেমনটা ঘটলে ঘনবসতির কারণে ব্যাপক প্রাণহানির শিকার হবে দেশটি। তবে অতিতে ইসরাইলের বড় শহরগুলো কখনো এই ধরণের মিসাইল হামলার শিকার হয়নি।
সূত্র- বাংলাভিশন