রবিউল আলম: পুলিশের বীরত্ব গাথার ইতিহাস বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম রাজারবাগ আক্রমণ থেকে। জঙ্গি, ডাকাত, মৌলবাদের মরণছোবল থেকে বাংলাদেশ পুলিশ আমাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল করে দিলো, জাতির সেই গর্বিত পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্যের অপরিণামদর্শী কর্মের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ করে পুরো পুলিশ বাহিনীকে, মূল্য দিতে হয় জাতিকে। সরকার ও রাজনীতিকে হেও প্রতিপন্ন হতে হয়। পঙ্গু রিকশা চালকের আত্মচিৎকার, অবুজ শিশুর কানমলা, অসহায় আওয়ামী লীগ কর্মীকে মাদকসহ চালান করা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিসে তাস খেলার অপরাধে থানায় নিয়ে বসিয়ে রাখা প্রশ্নবিদ্ধ হতো না। যদি ক্ষমতাশালী টাকাওলারা অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে না যেতে পারতো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, মাদক কারবারীদের জন্য থানায় কোনো সুপারিশ না করা, আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়া। আমার এমপি আলহাজ্ব মো. সাদেক খান এবং আমরা লোকাল রাজনীতির সাথে যুক্ত অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলছি। এমনকি লাঠি হাতে, বাশি মুখে মাদক ব্যবসায়ীদের বিতারিত ও আইনের কাছে হস্তান্তর করেছি। জেনেভা ক্যাম্পসহ রায়েরবাজার একাধারে অভিযান পরিচালিত হয়। পুলিশ-জনতার সেই অভিযান ছিলো আলোচিত। এখন আওয়ামী লীগ অফিস, কাউন্সিলের অফিসের পাশেই অবাধে মাদক বিক্রি হচ্ছে, পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারের উন্নয়ন ও অর্জন মাদকের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না, হতে দেওয়া যায় না। বাংলাদেশের পুলিশ মাটির নিচ থেকে অপরাধী বের করে আনতে পারে, তারা মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না? চাইলে অবশ্যই পারবে। লেখক : মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি