শিরোনাম
◈ সমৃদ্ধ গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পাশে কমনওয়েলথ: ঢাকায় আসছেন মহাসচিব ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিল বিভাগের রায় আজ ◈ স্নাইপার সাফারি: অর্থের বিনিময় মানুষ গুলি করার ‘খেলা’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তিন দশক পর (ভিডিও) ◈ রামপুরায় টিভি ভবনের সামনে বাসে আগুন (ভিডিও) ◈ নিউইয়র্কে পা রাখলেই গ্রেপ্তার করা হবে নেতানিয়াহুকে: হুঁশিয়ারি জোহরান মামদানির ◈ পল্লবী থানার সামনে পরপর তিন ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে পালালো দুর্বৃত্তরা—আহত ৩ ◈ সাবেক আ.লীগ সরকারের ৩৩২ কোটি টাকায় রোজ গার্ডেন কেনা নিয়ে অনুসন্ধানে দুদক ◈ বাংলাদেশকে বিজনেস ভিসা দেওয়া শুরু করেছে ভারত: প্রণয় ভার্মা ◈ ভোটার কার্ড করেন ৩০ হাজার টাকায়, পাসপোর্ট করতে গিয়ে আটক ◈ গণভোট প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর জিজ্ঞাসায় সিইসির জবাব: ‘আইন ছাড়া সম্ভব নয়’

প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৪৫ রাত
আপডেট : ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৮ হাজার টাকার চাকরি থেকে দেশের কনিষ্ঠতম কোটিপতি কী ভাবে হয়ে উঠলেন স্কুলছুট নিখিল?

অনলাইন ডেস্ক: স্কুলের ছকে বাঁধা পড়াশোনায় মন বসত না। মাথার মধ্যে ঘুরত হাজার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা। ক্লাসে শিক্ষক পড়ানোর সময়েও সেই সব পরিকল্পনা নিয়েই নাড়াচাড়া করতেন। সেই করতে করতে মাত্র ১৪ বছর বয়সে এক বন্ধুর সঙ্গে শুরু করে দিলেন নিজের ব্যবসা।

পুরনো মোবাইল ফোন কিনে তা অন্যকে বেশি দামে বিক্রি করা শুরু করলেন। মন্দ চলছিল না। কিন্তু ধরা পড়ে গেলেন মায়ের কাছে।জোর করে তাঁকে ঘরে আটকে রাখা হল। গতে বাঁধা রাস্তায় চলতে বাধ্য করা হল। পড়াশোনা করতে বলা হল। ডিগ্রি অর্জন করার জন্য জোরাজুরি শুরু হল।

একদিন বিরক্ত হয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। স্কুলছুট সেই ছেলেই আজ ভারতের কনিষ্ঠতম কোটিপতি।নিজের সংস্থা খুলে ফেলেছেন তিনি। মূলত শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে সাহায্য করে তাঁর সংস্থা। পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ড এবং বন্ড কেনাবেচায় দালালির কাজও করে তাঁর সংস্থা।

তিনি নিখিল কামাথ। ১৪ বছর বয়সে তাঁর প্রথম ব্যবসা ছিল ওই পুরনো মোবাইল ফোন কেনাবেচা। ব্যবসার কথা জানতে পেরে মা তাঁর সংগ্রহে থাকা সব মোবাইল ফোন শৌচাগারের জলে ফেলে দিয়েছিলেন।

তারপর ১৭ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। প্রথমে একটি কল সেন্টারে কাজ শুরু করেন।বিকেল ৪টে থেকে রাত ১টা পর্যন্ত কাজ করতে হত তাঁকে। দিনের সময়টা কাজে লাগাতেন ব্যবসায়িক কাজে। তখন মাইনে পেতেন মাত্র ৮ হাজার টাকা।

শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড এ সব নিয়ে বরাবরই কৌতূহল ছিল তাঁর। বিষয়গুলির গভীরে ঢুকতে প্রচুর পড়াশোনা করেছেন এক সময়।তাঁর বাবা ছিলেন এক জন ব্যাঙ্ক কর্মী। ছেলের ইচ্ছা পূরণের জন্য তিনিই তাঁকে টাকা দিয়ে ব্যবসায় সাহায্য করেছিলেন প্রথম।এমনকী তাঁর উদ্যোগ এবং ইচ্ছাশক্তি দেখে কল সেন্টারের সহকর্মীরাও কিছু কিছু টাকা দিয়ে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন।

ভাইকে সঙ্গে নিয়ে তিনি শুরু করে দিলেন নিজের ব্যবসা। বর্তমানে তাঁদের সংস্থার দৈনন্দিন টার্নওভার প্রায় ১ কোটি ডলার।২০২০ সালে ফোর্বসের প্রথম ১০০ ধনীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী ৩৪ বছরের নিখিলের সম্পত্তির পরিমাণ ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়