দীপু তৌহিদুল: ভারতে করোনার আঘাত নিয়ে আপডেট নিউজগুলো দেখে চরম ভীত হচ্ছি। ভারতে করোনা ট্রিপল মিউটেশন করে ফেলেছে। হসপিটালগুলোতে কোনো জায়গা নেই, ওষুধ সঠিক ভাবে মিলছে না, অক্সিজেন সাপ্লাই ব্যাহত হচ্ছে, প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন, শ্মশানের স্থান সংকুলান হচ্ছে না বলে সাময়িক ভাবে ডেড বডি পোড়ানোর জন্য নতুন করে জায়গা করা হচ্ছে, মুসলিম কবরস্থানে কবরের সংকট দেখা দিয়েছে। ভারতের মতন শক্ত গুছানো রাষ্ট্রও সব কিছু সামাল দিতে অক্ষম হচ্ছে। করোনা ভাইরাসকে মোকাবেলায় ভারত সরকার লকডাউন হতে নাইট কারফিউ পর্যন্ত ব্যাবহার শুরু করেছে। ভারত সত্যি এই মুহূর্তে করোনার বিপর্যয়ের মুখে পড়ে গেছে। আর এটা বাংলাদেশের জন্যও চরম দুঃসংবাদ। বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই করোনার ডাবল মিউটেশন আছে, এখন এখানে ট্রিপল মিউটেশন চলে এসেছে বা হয়ে গেছে অনুমান করাই যেতে পারে। ভারত যে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, বাংলাদেশও হাটি হাটি পা পা করে সেদিকেই হাঁটছে মনে হচ্ছে, এইটা করোনায় বাংলাদেশের রাইজিং ডেথ রেটটাই বলে দিচ্ছে। করোনা সামাল দিতে ভারতের ঘাম ছুটে যাচ্ছে।
সেখানে করোনা সামাল দেবার ইস্যুতে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থানে আছে এটা ভাবাটা চরম বোকামি হবে। আমাদের নিজেদের সামর্থ্য অবশ্যই খুব দুর্বল, এটা স্বীকার করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উচিত খুব দ্রুততম সময়ে নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী জরুরি সর্বাত্মক পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলা। আর এটা না করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বিশাল হয়ে যাবে। বাংলাদেশের হাতে এক্সট্রা খেলার মতন কোনো সময় হাতে আর নেই। বাংলাদেশে যারা মনে করছেন ভারতে করোনার আঘাত তাদের গায়ে লাগবে না, তারা চরম ভুল করছেন। ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত, বাণিজ্য ও যাতায়াত রয়েছে, তাই দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদেরকে লক করে থাকতে পারবেন না। এখন সময়ের প্রয়োজনে ভারতের করোনা নিয়ন্ত্রণে গৃহীত উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের অনুসরণ করাটা ভালো হবে। এসবের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে যেতে হবে, যাতে উভয় রাষ্ট্রে সঠিক ভাবে করোনা ইস্যুতে ফাইট হয়। বাংলাদেশ সরকারের এই মুহূর্তে উচিত কাজ - সকল কাজ স্থগিত রেখে করোনা নিয়ন্ত্রণে শতভাগ মন দেওয়া। সময় কিন্তু গড়িয়ে যাচ্ছে। ফেসবুক থেকে