শেখ সাইফুল ইসলাম: [২] বাগেরহাটের শরণখোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস ও একটি মোটর সাইকেলসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
[৩] বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সোনাতলা গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
[৪] আটক পাচারকারীরা হচ্ছে, উপজেলার বকুলতলা গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের ছেলে আলীরাজ হোসেন (২০) ও মোঃ ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে রেজাউল হাওলাদার (২২)।
[৫] শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সুন্দরবন সংলগ্ন সোনাতলা গ্রামের পিলের রাস্তায় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকে। রাত ২টার দিকে ওই দুই পাচারকারী বিক্রীর জন্য একটি মোটরসাইকেলে করে হরিণের মাংস নিয়ে যওয়ার সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।
[৬] এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করে মাংস ও মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। মাংসগুলো আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[৭] বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪টি রেঞ্জর ১৮টি রাজস্ব অফিস, টহল ফাঁড়িগুলোতেতে জনবলের সংখ্যা মাত্র ৮৮৯জন। এরমধ্যে পূর্ব বিভাগে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। এই অপ্রতুল জনবল দিয়ে বিশাল এই সুন্দরবনের প্রান-প্রকৃতিকে দেখভাল করা একটি দুরহ কাজ। সাম্প্রতিক সময়ে বাঘ, হরিণ হত্যার পাশাপাশি খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও আগুন দস্যুদের হাত থেকে সুন্দরবন রক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট প্রেট্রোলিংসহ সব ধরনের পাহারা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি লোকালয়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারী। বন্যপ্রাণী শিকার-পাচারকারীসহ বিষ ও আগুনদস্যুদের তালিকা করা হচ্ছে। অবাঞ্ছিত কোন লোকজনকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। একই সাথে সুন্দরবনের সব ধরনের সম্পদ আহরণে পাশ-পারমিট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সুন্দরবন রক্ষায় বন বিভাগ তৎপর রয়েছে বলেও দাবি করেন এই বন কর্মকর্তা। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :