শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:৪৬ দুপুর
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:৪৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দরিদ্রতায় মদ বিক্রি করে চালিয়েছেন পড়াশোনা, আজ ভীল উপজাতির প্রথম আইএএস অফিসার রাজেন্দ্র (ভিডিও)

ডেস্ক রিপোর্ট: জীবনের পথে চলতে গেলে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। যদি সেটি হয় কোনো দরিদ্র ঘরে বড় হয়ে নিজের স্বপ্নের প্রতি অবিচল থাকা তবে সেই বাধা কাঁটার মতন বিঁধে থাকে। শত বাধা পেরিয়ে স্বপ্নকে জয় করাই হল আসল সাফল্য। এরকমই ঘটনা ঘটেছে সাক্রি তালুকার সামোদে গ্রামে জন্ম হওয়া রাজেন্দ্র বাবুর জীবনে। তিনি শত বাধাকে অতিক্রম করে আজ আইএএস অফিসার। বর্তমানে তিনি গোটা দেশের কাছে আদর্শ স্বরূপ। রাজেন্দ্র বাবুর মা যখন গর্ভবতী তখনই তার বাবার মৃত্যু হয়। জন্মের পর বাবাকে দেখতে পারেননি রাজেন্দ্র। তিনি বাবা কথাটির মানেই অনুধাবন করতে পারেন না। নিউজ ট্রিপ

তার কাছে তার মা ও বাবা একজনই। তার বাবার নাম বান্দু ভারুদ ও মায়ের নাম কমলাবাই। বাবার মৃত্যুর পর সংসারে আরও আর্থিক অনটন নেমে আসে। রাজেন্দ্র বাবুর মা ও ঠাকুমা মিলে কোনোমতে তাদের তিন ভাইকে সংসার চালিয়ে মানুষ করেছেন। মহারাষ্ট্রের আদিবাসী এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে মহুয়া ফুল পাওয়া যায়। সেই মহুয়া ফুল দিয়ে তৈরি হয় দেশীয় পানীয়। এই পানীয় তৈরি বেআইনি কাজ নয়। তাই তার মা ও ঠাকুমা এই মহুয়া ফুলের পানীয় তৈরি করতেন। এই পানীয় বিক্রি করে তারা প্রতিদিন ১০০ টাকা করে রোজগার করতেন।

আর সেই টাকা দিয়ে তিন ছেলে ও মহিলা দু’জন খেয়ে পরে বেঁচে থাকতেন কোনোমতে। রাজেন্দ্র বাবু স্থানীয় জেলা পরিষদের বিদ্যালয়েই ভর্তি হন। এরপর রাজেন্দ্রপুর পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা বুঝতে পারেন তিনি একজন মেধাবী ছাত্র। তারা সেই বিষয়টি তার মাকেও জানান। এরপর রাজেন্দ্র ১৫০ কিমি দূরে সিবিএসসি বোর্ডের স্কুলে ভর্তি হন। সেই স্কুল ছিল তাদের বাড়ি থেকে ১৫০ কিমি দূরে। সেই স্কুলে দূর থেকে আসা ছাত্রদের জন্য রুমের ব্যবস্থা ছিল। সেখানেই অবশেষে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

এরপর তিনি দশম শ্রেণির পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পান। এর ফলে তিনি স্কলারশিপে মুম্বাইয়ের জি এস মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ছোটোবেলা থেকে তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও তিনি ভেবেছিলেন এমন কিছু করবেন যাতে মানুষের পাশে থাকা যায়। এরপরই তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য দিন রাত পড়াশোনা শুরু করেন। সবকিছু ভুলে গিয়ে যন্ত্রের মতন পড়তে লাগলেন। অবশেষে ২০১২ সালে ফরিদাবাদে আইআরএস অফিসার নিযুক্ত হন তিনি।

চাকরি পাওয়ার পর ফের তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা শুরু করেন। ২০১৭ সালে তিনি চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হন শোলাপুরে। ২০১৮ সালে নন্দূর্বার জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর তিনি সেখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য নানান ধরনের উদ্যোগ নেন। ৪০ হাজার পরিবারকে রেশনের ব্যবস্থা করে দেন। করোনা ভাইরাসের সময় তিনি তার ব্লকে একটি উচ্চমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করেন। আর এইসব কারণের জন্য রাজেন্দ্র একজন আদর্শ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়