লিহান লিমা: [২] গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের ওপর সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির ১০ শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাসহ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বৃহত্তর দুইটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইইউ। আল জাজিরা/রয়টার্স
[৩] নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় ইইউ জানায়, এই ব্যক্তিদের ইইউ দেশগুলোতে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এই কর্মকর্তারা মিয়ানমারে গণতন্ত্র খর্ব, আইন-শৃঙ্খলা লঙ্খন, দমনমূলক কার্যক্রম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। ইইউ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত মিয়ানমারের প্রতিষ্ঠান ‘মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিং পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ’ ও ‘মিয়ানমার ইকোনমিক কর্পোরেশন লিমিটেড’ এর ওপরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে।
[৪] জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে আগামী ২৪ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া আসিয়ান সম্মেলনে মিয়ানমারেকে চাপ প্রয়োগ করার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সংকটে আসিয়ানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসিয়ান দেশগুলোর সরকারকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক দেশটিতে হওয়া সহিংসতা ও দমন বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে।’
[৫]সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও এক বিবৃতিতে আসিয়ান দেশগুলোকে এই সংকটে মুখ বন্ধ করে না থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এই সময় তিনি বর্তমান জাতিসংঘ মহাসচিবকেও মিয়ানমার সংকটে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। প্রসঙ্গত, বর্তমানে মিয়ানমারে পরিস্থিতি দেখভাল করছেন দেশটিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত স্কারনার বার্গনার। বান কি মুন বলেন,‘পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় আমি মনে করি জাতিসংঘ মহাসচিবের উচিত সরাসরি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা ও সহিংসতা বন্ধে তড়িৎ পদক্ষেপ নেয়া।’
[৬]এ পর্যন্ত মিয়ানমারে সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৭৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কারাগারে আটক রয়েছেন ৩ হাজার ২২৯ বিক্ষোভকারী।