আব্দুল্লাহ মামুন: জাফর ইকবাল ছিলেন একজন বাংলাদেশি অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী। তিনি আশির দশকের বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। । অভিজাত পরিবারের ছেলে জাফর ইকবাল। ঢাকার গুলশানে ১৯৫০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নিজস্বতা ছিল নায়ক জাফর ইকবালের অভিনয়ে। সাবলীল, কিন্তু চিত্ত হরণে অনন্য। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে যে কজন বড় পর্দার অভিনেতা এসেছিলেন, নায়ক হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম জাফর ইকবাল। তিনি তার সময়ের তুলনায় এগিয়ে ছিলেন। ফ্যাশনে, শরীরী ভাষায়। নায়ক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও সংগীতশিল্পী হিসেবেই নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এই চিরসবুজ তারকা।
জাফর ইকবাল তার পছন্দের নায়ক হিসেবে উল্লেখ করে ববিতা আরও বলেছেন, ‘অনেক বড় বড় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছি। আমাদের নায়করাজ রাজ্জাক ভাই, ফারুক, সোহেল রানাসহ আরও অনেকের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছি। ভারতের সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও অভিনয় করেছি। কিন্তু, জাফর ইকবালের কিছু বিষয় আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করতো। তিনি সুদর্শন ছিলেন। তার অভিনয় ছিল সাবলীল। তার কণ্ঠ, ব্যক্তিত্ব, ফ্যাশন সচেতনতা, রুচিবোধ ছিল চমৎকার।’ ১৯৭০ দশকের মাঝামাঝি ‘সূর্য সংগ্রাম’ ছবিতে ববিতার বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মাস্তান’ ছবির বদৌলতে ‘ড্যাশিং’ নায়কের পরিচিতি পান জাফর ইকবাল। তিনি রোমান্টিক নায়ক হিসেবে পরিচিতি পান ‘নয়নের আলো’ সিনেমার মাধ্যমে।তথ্যসূত্র : ইউকিপিডিয়া, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার