বিপ্লব বিশ্বাস: [২] হাসপাতালে বেড না পেয়ে রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে৷ বরিশালে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের ভেতরে নয়, গাছের ডালে স্যালাইন বেঁধে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে রোগীকে।
[৩] বেডের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের ভেতরে ঠাঁই হচ্ছে না রোগীদের। এমনকি বারান্দা, সিঁড়ির কোঠা কোথাও জায়গা নেই। এ কারণেই এই করুনদশা।
[৪] আইভি স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ ঠিকমতো না পাওয়ারও অভিযোগ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন বলেন, '৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও এখানে রোগী আছে দুই থেকে আড়াইশ। প্রয়োজনীয় সেবা ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না।'
[৫] রোগীর চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে এবং বাড়তি স্যালাইনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে উল্লেখ করে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং ইনচার্জ আয়শা আক্তার বলেন, 'এখানে যে পরিমান বেড রয়েছে রোগীর সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। যারা বাইরে অবস্থান করছে, তাদেরকে সেবা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালের বেডের সংখ্যা যদি বাড়ানো হয় তাহলে রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো।'
[৬] বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, 'এই হাসপাতালটিতে ডায়রিয়ার জন্য মূলত চারটি বেড বরাদ্ধ আছে। কিন্তু এখন আমাদের এখানে প্রায় ৫০ জনের বেশি ডায়রিয়া রোগী আছে। আমাদের এখন দুইটি বিষয়ের খুব প্রয়োজন, জনশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানও বাড়াতে হবে।'
[৭] জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা মাত্র ৪টি। প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০জন রোগী। গত মার্চে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৫১ জন ডায়রিয়া রোগী। ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৫১২জন৷