শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:১৭ সকাল
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শরীয়তপুরে ভেঙে পড়ল হাসপাতালের ছাদ

ডেস্ক রিপোর্ট : শরীয়তপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের নিচতলার রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের ছাদ আবারও ভেঙে পড়েছে। গতকাল সকালে ছাদের একটি অংশ খসে পড়ে। এতে রডসহ ফ্যান ঝুলে পড়েছে। দেখা গেছে, কক্ষটির অধিকাংশ পলেস্তারাসহ খোয়া-সিমেন্ট ভেঙে পড়েছে। কিছু অংশ ঝুলে আছে। সেখানেই সেবা পাওয়ার জন্য রোগীদের অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে। এ বিষয়ে বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আক্তার হোসেন বলেন, ‘সকালে কক্ষের তালা খুলে দেখি ছাদের পলেস্তারাসহ একটি বড় অংশ খসে পড়ে আছে। এক্স-রে মেশিনের ওপর বড় অংশ পড়েছে। বিকল্প না থাকায় তার পরও এ কক্ষটিই ব্যবহার করতে হবে।’ এর আগে গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহমদ খানের কক্ষের ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়েছিল। এখনো ওই কক্ষটির সংস্কারকাজ শেষ না করায় তা ব্যবহার করতে পারছেন না তত্ত্বাবধায়ক। হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগটি নিচতলার দুটি কক্ষে অবস্থিত। একটি কক্ষের ছাদের অধিকাংশ অংশের পলেস্তারা ধসে পড়েছে। আর কিছু অংশ ঝুলে আছে। ওই কক্ষের মধ্যেই সেবা পাওয়ার জন্য রোগীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহমদ খান বলেন, ‘১৯৮৫ সালে হাসপাতালের একটি অংশ এক তলা ও একটি অংশ দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে অতিরিক্ত ১৬টি পিলার স্থাপন করে হাসপাতালটি তৃতীয় তলা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। বর্তমানে হাসপাতাল ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গত পাঁচ বছরে পাঁচ দফা বিভিন্ন ফ্লোরের ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়েছে। ২০১৮ সালে নিচতলার করিডোরে ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়ে তিন ব্যক্তি আহত হন। শনিবার আবার রেডিওলজি বিভাগের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। গত বছর আমার কক্ষের পলেস্তারাও খসে পড়েছিল। তখন অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা ভবনটি পরীক্ষা করেছেন। এখন ভবনের নিচতলা সংস্কার না করে ব্যবহার করা ঠিক হবে না।’

সদর হাসপাতালের ফার্মেসি বিভাগের ফার্মাসিস্ট নাসির উদ্দিন বলেন, ‘হাসপাতাল ভবনের বিভিন্ন স্থানের ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়ছে। অনেক স্থানে পলেস্তারায় ফাটল রয়েছে। অনেক কক্ষ দিয়ে পানি পড়ে। কয়েক দফা পলেস্তারা ভেঙে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা আতঙ্ক নিয়ে অফিস করছি। আমার ফার্মেসি বিভাগের কক্ষের ছাদ ও বিমে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে।’ আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুমন কুমার পোদ্দার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, তত্ত্বাবধায়ক, আরএমওর কক্ষ, এক্স-রে রুম, ল্যাবরেটরি ছারাও বিভিন্ন প্রশাসনিক কক্ষ রয়েছে। ছয়টি কক্ষ এ মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ। শনিবার পুনরায় ছাদের অংশ ধসে পড়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ভবনে কাজ করা সম্ভব নয়।’ শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, ‘সদর হাসপাতাল ভবনটি পুরনো তাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার করা হবে। সেজন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। হাসপাতাল প্রশাসন ও গণপূর্ত বিভাগের সমন্বয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে; যাতে নিরাপদে সবাই কাজ করতে পারেন।’বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়