শিমুল মাহমুদ: [২] গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৯২ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে আরো ৯৪ জনের, যা নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজারের বিষাদময় মাইলফলক ছাড়াল। সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮১ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জন।
[৩] নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত রোগীর হার ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এই পর্যন্ত শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮৩। আর শনাক্ত রোগীদের মৃত্যুর হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
[৪] তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর গত ১৫ দিনেই ১ হাজার কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে সর্বশেষ একলাখ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে মাত্র ১৬ দিনে। এর আগের ছয় লাখ সংক্রমণ শনাক্তের ক্ষেত্রে একলাখ সংক্রমণ এত কম দিনে কখনো শনাক্ত হয়নি।
[৫] সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দিনে ৬ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে আসছিল। এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
[৬] আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ বাড়বেই। আর তাই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে। সংক্রমণের উৎস ও উৎপত্তিস্থল বিশ্লেষণ করে তারপর সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’