শিরোনাম
◈ ‘বিএনপি ১০০ বছর চেষ্টা করেও গণভোট ঠেকাতে পারবে না’ (ভিডিও) ◈ পেট্রোল বোমাসহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক ◈ প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ২য় ধাপে বড় বিজ্ঞপ্তি ◈ পাটওয়ারীর ও হাসনাতের সাথে ডা. জাহিদ রায়হানের বাকবিতণ্ডা! (ভিডিও) ◈ হাসিনার মামলার রায়: ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি ◈ ডাকসুতে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত ◈ রংপুরে ভুয়া নারী সৈনিক সেজে অনলাইনে প্রেমের ফাঁদ, এরপর যা ঘটল! ◈ পুলিশ সুপারের বাসভবনে আগুন ◈ ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তলব : হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার নিয়ে গভীর উদ্বেগ  ◈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১

প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৫৫ বিকাল
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৬:২০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কোভিড আতঙ্কে ভুগছেন বয়স্ক মানুষ: মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যায় করণীয়

মেহেদী হাসান: [২] বেশিরভাগ বয়স্ক মানুষই জানেন যে কোভিড-১৯ এ তারাই সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হতে পারেন। বিশেষ করে যাদের হাই ব্লাড প্রেসার, হাঁপানি, হৃদরোগ অথবা ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। সারাক্ষণ খবর দেখার ফলে তাদের উদ্বেগ বেড়ে যেতে পারে। কোভিডের কারণে সমবয়সী মানুষদের দূরে গিয়ে তারা দিশেহারা বোধ করছেন।

[৩] এই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে কীভাবে তাদের সাহায্য করতে পারি? এই অতিমারির সাথে কোনোভাবে যোগাযোগ নেই এমন ধরনের ইতিবাচক বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করা উপযোগী হতে পারে। যদি তাদের সাথে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত কথা বলেন অথবা যদি তারা খুব বেশি মানসিক চাপ অনুভব করেন তাহলে তাদের আশ্বস্ত করা যাবে এমন সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা করতে পারেন।

এই সময় বয়স্ক মানুষদের সাহায্য করার একটা উপায় হল তাদের সামাজিক ক্রিয়াকলাপগুলিকে যতটা সম্ভব অনলাইন নিয়ে যাওয়া। আমাদের প্রতিদিনকার জীবনকে আমরা যতটা সহজে অনলাইন নিয়ে যেতে পারি তাদের ক্ষেত্রে সেটা হয়না। তাদের জীবনের বিভিন্ন দিকগুলিকে অনলাইনের সাথে জুড়ে দিলে হয়তো এই পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া তাদের পক্ষে কিছুটা সহজ হয়ে উঠবে। যেমন- যদি প্রতিদিন কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে তারা তাদের বন্ধুদের সাথে দেখা করে থাকেন, তাহলে এখন দেখা করার পরিবর্তে তাদের সাথে ফোনে কথা বলতে পারেন বা ভিডিও কল করতে পারেন। তারা যে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন নন সেটা সুনিশ্চিত করার জন্য পরিবারের অন্য সদস্যরা পালা করে তাদের ফোন বা ভিডিও কল করতে পারেন।

[৪] এইরকম একটা পরিস্থিতিতে বয়স্করা নিজেদের যত্ন কীভাবে নিতে পারেন? প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক মনে হবে যদি বেশিরভাগটা অনলাইন নিয়ে যাওয়া হয়। রোজ যাদের সাথে দেখা হত সেইসব বন্ধু ও পরিবারের লোকজনকে ফোন করে কথা বলা বা ভিডিও কলে কথা বলা। সারাক্ষণ খবর পড়ার বা দেখার বদলে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে কিছুক্ষণের জন্য খবর দেখা। এই মুহুর্তের খবরে হয়তো আতিশয্য থাকতে পারে এবং তাতে উদ্বেগ বাড়তে পারে। বাড়ির কাজকর্মের নিজেকে ব্যস্ত রাখা। আগ্রহের বিষয়গুলি যেমন, শিল্পকলা, সঙ্গীত, বইপড়ার মাধ্যমে সময় কাটানো অথবা নতুন কোন টেকনোলজির বিষয়ে জানা।
[৫] যারা একা থাকেন এই একাকিত্বের সময়ে তাদের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যেতে পারে?

পরিবার এবং বন্ধুদের পালা করে তাদের সাথে ঘনঘন ফোনে কথা বলা উচিত। প্রতিটি ফোন কল যেন অন্তত পক্ষে ৩০-৬০ মিনিটের হয়। তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলুন- যেমন তাদের ছোটবেলার কথা অথবা তাদের পরিচিত কোনও রান্নার পদ নিয়ে আলোচনা করা। সবাই একসাথেই আছি এই বোধকে জাগিয়ে রাখার জন্য পরিবারের অন্যান্যের সাথে একটি ভিডিও গ্রুপ তৈরি করতে পারেন এবং একসাথে রান্না বা ছবি আঁকার মত কাজকর্ম করতে পারেন। অনেকের বাড়িতেই কাজের লোক আসছে না। পরিচর্যাকারীদের বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করতে হচ্ছে, বয়স্ক লোকেদের পরিচর্যা করতে হচ্ছে এবং সংসারের কাজ সামলাতে হচ্ছে।

[৬] এই অবস্থায় তারা নিজের যত্ন কীভাবে নেবে?এই ধরনের পরিস্থিতিতে এটা বোঝা জরুরি যে পরিচর্যার কাজটিতে শুধুমাত্র কায়িক পরিশ্রম জড়িত নয়, বরং এর সাথে মানসিক এবং আবেগযুক্ত শ্রমও জড়িত। তাই এটি খুবই ক্লান্তিকর হতে পারে। যদি স্থানের বাধ্যবাধকতা থাকে, তাহলে নিজের জন্য সময় বের করে নেবার জন্য পরিচর্যাকারী বয়স্ক ব্যক্তিকে টিভিতে সিনেমা দেখতে অথবা অন্য কোন এমন কাজ করার জন্য উৎসাহিত করতে পারেন যেটা তিনি উপভোগ করেন। এই ‘নিঃসঙ্গ সময়’টি ব্যায়াম করে অথবা ছবি আঁকার মতো কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রেখে নিজের যত্ন নেওয়া যেতে পারে। প্রতিদিনের কাজকর্মের জন্য টাইম ম্যানেজমেন্ট এবং প্ল্যানিং করতে হবে। সাহায্যের জন্য থেরাপিষ্ট বা বন্ধুর সাথে কথা বলা যেতে পারে। সম্পাদনা : রাশিদ

[স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক গাইডবুক অবলম্বনে]

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়