শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৫০ বিকাল
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৫১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ নিতে ৯৩ ভাগ নারী উদ্যোক্তা আবেদনই করেনি

বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] কোভিডকালীন প্রণোদণা প্যাকেজ থেকে ঋণ নিতে ৯৩ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা আবেদন করেননি। একই সঙ্গে ৫৮.৬ শতাংশ উদ্যোক্তা এই ঋণ সম্পর্কে কিছু জানেনই না। নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সিপিডির জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

[৩] সিপিডির জরিপটি করা হয় গার্মেন্ট থেকে শুরু করে ছোট দোকানের মালিক নানা ক্ষেত্রের নারী উদ্যোক্তাদের মতামতের উপর। কোভিড-১৯ সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে যেসব আর্থিক প্যাকেজ বা বিশেষ সুবিধা প্রনয়ণ করা হয়েছে, তার কতটুকু জেন্ডার-সংবেদনশীল ছিল এবং নারীদের এ মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে তা কীভাবে সহায়তা করেছে, সেটি খুঁজে বের করাই এ জরিপটির লক্ষ্য ছিল। জরিপে বলা হয়,দেশের নারী উদ্যোক্তাদের শতকরা ৫৮.৬ ভাগেরই সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। উল্লেখ্য, করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় সিএমএসএমই খাতে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছে।

[৪] জরিপে বলা হয়, দেশের ৬৬ শতাংশ বয়স্ক মানুষ সরকারের সামাজিক সুরক্ষার সুবিধা পায়না। ৭০.৬ শতাংশ শিশুও এই কাতারে রয়েছে। ৭৯.১ প্রসূতি মাতৃত্বকালীন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ৮১.৫ প্রতিবন্ধিও সরকারের করোনাকারীন কোন ধরণের সুবিধা পায়নি। করোনায় নারীদের গৃহশ্রম পুরুষদের তুলনায় ৩গুণ বেড়েছে। এক সপ্তাহে পুরুষরা গড়ে ৮ ঘন্টা গৃহ কাজ করলেও নারী রা করছেন ২৪ থেকে ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত। রংপুরের পুরুষরা গড়ে গৃহ কাজ করে ৭.৬ ঘণ্টা অন্যাদিকে নারী রা করে ২৭ ঘণ্টা , ঢাকার পুরুষরা গড়ে গৃহকাজ করে ৯.৪ ঘণ্টা অন্যদিকে নরীরা কাজ করে ২৪ ঘণ্টা। চট্টগ্রামে পুরুষরা ঘরে কাজ করে ৯ .৪ ঘণ্টা, নারীরা করে ২৭ ঘণ্টা। দেশের মধ্যে সিলেটের পুরুষরা সবচেয়ে বেশি ১২ ঘণ্টা গৃহ কাজ করে। তাদের নারীরাও দেশেরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩১ ঘণ্টা কাজ করে।

[৫] জরিপে উঠে আসে ৭২.৯ শতাংশ নারী ব্যবসায়ী দেশের কোন বিজনেস সংগটনের সঙ্গে জরিত নন। কোভিড সময়ে এই উদ্যোক্তারা তাদের দোকানের ভাড়া দিয়েছেন ৫৩.৩ শতাংশ। সরকারি কর ও অন্যান্য ইউটিলিটি কর দিয়েছেন ৪৩. ৫ শতাংশ। শ্রমিকদের বেতন দিয়েছেন ৬২ শতাংশ।

[৬] সিপিডি তাদের রিপোর্ট উল্লেখ করে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন অংশে পৃথক প্রভাব ফেলেছে; এই সমীক্ষায় তাই প্রধানত করোনার ফলে নারীদের আয়ের ওপর প্রভাব, গৃহস্থালী কাজের বর্ধিত চাপ, লেখাপড়ার ক্ষতি এবং বাল্যবিবাহ বৃদ্ধির মত বিষয়গুলোর প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে। সারাদেশের ৩৪টি জেলা থেকে বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত এবং ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার ৭০ জন নারী উদ্যোক্তার উপর সমীক্ষাটি পরিচালনা করে সিপিডি। সার্বিকভাবে বলা যায়, সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে নারীদের জন্য করোনায় ব্যবসা পরিস্থিতির বেশি অবনতি ঘটেছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়