সৌরভ ঘোষ : [২] কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে কুড়িগ্রামের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে প্রশাসন থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হলেও হাট বাজারগুলোতে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। নিরাপদ দুরত্ব না মেনেই ক্রেতারা বাজারগুলোতে ঘোরাফেরা করছেন। বেশ কিছু মানুষ মাস্ক ছাড়াই বাইরে বের হয়েছেন। ফলে আইন শৃংখলা বাহিনী হিমসীম খাচ্ছে তাদেরকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে।
[৩] বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে শহরের জিয়াবাজার, পৌরবাজার, খলিলগঞ্জ বাজার, ত্রিমোহনী বাজারে লেজেগোবরে অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। এসব এলাকায় অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মত ক্রেতারা বাজারে ভীর করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে জটলা করে লোকজন রাস্তায় অবস্থান করছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর গাড়ীর শব্দ পেলেই তারা গলিতে লুকিয়ে পরছেন।
[৪] এদিকে দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিকদের নিয়ে ছেড়ে আসা ট্রাক লকডাউনে আটকে পরায় ভোগান্তিতে পরেছে বাড়ি ফেরা শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জ থেকে ৩০জন ইট ভাটার শ্রমিক নিয়ে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক (ট-১৩৪১৪৪) বুধবার দুপুর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম শহরে আটকে পড়েছিল। হোটেল বন্ধ থাকায় পেটে খাবার পরেনি তাদের। অনুমতি ছাড়াই শ্রমিক নিয়ে লকডাউনে শহরে ঢোকায় শাস্তি স্বরুপ গুণতে হয়েছে জরিমানা।
[৫] ট্রাকে আসা শ্রমিক ছানোয়ার হোসেন, রায়হান মিয়া ও আফজাল হোসেন জানান, তারা ৬ মাস আগে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ডাওকিয়া মোড় সাদুল্লা বাজারের কাছে অপু মিয়ার ইট ভাটায় কাজ করছিল। লকডাউনে ভাটা বন্ধ হওয়ায় সর্দার ট্রাক ভাড়া করে তাদেরকে বাড়ী পাঠায়। তারা জেলার নাগেশ^রী উপজেলার কচাকাটা থানাধীন তরীরহাট এলাকার বাসিন্দা।
[৬] ট্রাক ড্রাইভার ফজলু মিয়া জানান, ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় মঙ্গলবার দুপুরে ৩০জন ইট ভাটার শ্রমিককে নিয়ে কুড়িগ্রামের উদ্যেশে রওনা দিয়েছি। প্রশাসনের অনুমতি না নেয়ার ৪ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হলো। এখন পর্যন্ত কারো পেটে ভাত পরেনি বলে তিনি জানান। সম্পাদ;না: জেরিন আহমেদ