শাহীন খন্দকার : [২] আজ বুধবার এক বাণীতে তিনি আরও বলেন, বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ উপলক্ষে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলা ভাষাভাষীদের প্রতি অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, এবার পহেলা বৈশাখ এমন একটি সময়ে আমাদের সামনে হাজির, যখন করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে সারাবিশে^।
[৩] তিনি বলেন, মৃত্যু আতংক বিশে^র প্রতিটি মানুষের অন্তরে। তাই, এই আতংকময় কোভিড-১৯ এর কবল থেকে বাঁচতে প্রত্যেকে নিজ ঘরে থেকেই মহান শ্রষ্টার অনুগ্রহ প্রার্থনা করুন। ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। করোনাভাইরাসের মত মহামারী থেকে রক্ষা পেতে মহান আল্লাহ্র কাছে ফরিয়াদ করেছেন বিরোধী দলীয় এই উপনেতা।
[৪] জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গণমাধ্যমে পাঠানো বানীতে সকল বাংলাভাষীর জন্য অফুরান শুভ কামনা প্রকাশ করেছেন। পুরনো, জরাজীর্ণ এবং অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলতে পহেলা বৈশাখ আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায় বললেন তিনি। ব্যার্থতার গ্লানী মুছে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উজ্জল আলোর রথে চলতে শেখায় পহেলা বৈশাখ।
[৫] বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ উপলক্ষে দেয়া বানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, পহেলা বৈশাখ হচ্ছে বঙ্গাব্দের প্রথম দিন বা বাংলা নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ বাঙালীর মহা ঐক্যের দিন। ধর্ম, বর্ণ, জাতি বা গ্রোত্রের সীমারেখা ভেঙে পহেলা বৈশাখের উৎসব আয়োজন আমাদের এক পথে চলতে সাহসী করে। সৌহার্দ্য, স¤প্রীতি, সুন্দর ও কল্যাণের জয়গানে শুভ পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত।
[৬] তিনি বলেন, মুঘল সম্্রাট আকবরের আমলে কর বা রাজস্ব আদায়ের জন্য বাংলা সন গণনা শুরু হলেও, পহেলা বৈশাখ দিনে দিনে বাঙালী সংস্কৃতি লালন ও বিকাশের অসাধারণ অধ্যায়ে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পহেলা বৈশাখকে বাঙালীর প্রাণের উৎসবে পরিণত করতে দিনটিকে সরকারী ছুটি ঘোষণা করেন। এরপর থেকে বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ মানেই রঙিন উৎসবে বাঙালীর প্রাণের সঞ্চার। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান