শাহীন খন্দকার :[২] দেশব্যাপী ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। চলবে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত । সরকারি ভাষায় একে বলা হয়েছে ‘চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ’। নগরীর অনেক রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে বিজয় স্বরণী ফ্লাইওভার বন্ধ হয়েছে।
[৩] বিশেষ প্রয়োজনে রিক্সা পিকআপ ভ্যান ও ব্যাক্তিগত গাড়ি নিয়ে রাজধানীতে সকাল থেকেই এক স্থান থেকে অন্যত্র যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ, সংখ্যায় খুবই কম। যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন তােদের চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
[৪] পিকাপভ্যানের আরোহী নিশিথা জানালেন, তাকে দ্রুত যেতে হবে পুরান ঢাকায় । আড়ংয়ের সামনে থেকে পিকাপভ্যানের ড্রাইভার পুরান ঢাকায় যেতে জনপ্রতি ৪শত টাকা করে নিচ্ছে।
[৫] এদিকে ‘সারাদেশসহ রাজধানীতেও সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। লকডাউনে পাড়া-মহল্লায় পুলিশের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
[৬] কারওয়ান বাজার রেলগেট ক্রসিংভার ফেলে পুলিশ গাড়ি যাতায়াতেরোধ করার চেষ্টা করতে দেখা যায় সকাল ৯টায় । এসময়ে পুলিশের একসদস্য প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। খোলা স্থানে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপণ্য কেনা- বেচা করা যাবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
[৭] তিনি আরও বলেন, অতি জরুরি প্রয়োজন (ওষুধ, নিত্যপণ্য, চিকিৎসা, দাফন ও সৎকার) ছাড়া কোনোভাবেই বাইরে যাওয়া যাবে না। তবে টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে।
[৮]উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় এর আগে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন বা বিধিনিষেধ ছিল। তবে রাস্তায় কোন গণপরিবহন, মার্কেট খোলা দেখা যায়নি। তবে এবার কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কার্যকর পদক্ষেপ পালন করতে দেখাগেছে।