ডেস্ক রিপোর্ট: রপ্তানি আয়, শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও চলমান টিকাদান কর্মসূচির উপর ভর করে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষণগুলো দেখা যাচ্ছে। তবে এখনও অনিশ্চয়তা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে দুর্বল লজিস্টিক ব্যবস্থার কারণে ব্যবসায় ব্যয় বেশি হচ্ছে। চ্যানেল আই
সোমবার বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
অনলাইনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে লজিস্টিকস এবং প্রতিবেশি দেশের সাথে যোগাযোগের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, আমদানি-রপ্তানি এবং ব্যবসা সংক্রান্ত সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট সূচকে ১৬০টি দেশের মধ্যে ১০০তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে এ খাতের উচ্চ ব্যয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে। তবে এই খরচ ২৫ শতাংশ কমানো গেলে রপ্তানি আয় বাড়বে ২০ শতাংশ।
ওই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেছেন, করোনাকালে বিশ্বজুড়ে নানা অনিশ্চয়তার পরও অর্থনীতিতে দ্রুত পুনরুদ্ধার করছে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া টিকা কার্যক্রম অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করছে। মে মাসের শুরুতে বাংলাদেশ কোভ্যাক্স থেকেও ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাবে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ভারত থেকে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে। আরও আড়াই কোটি ডোজ কেনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কোভ্যাক্সের ৬ কোটি ৮০ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ। এ টিকা এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে পাওয়ার কথা থাকলেও ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে শুরু করে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় চাপের কারণে কোভ্যাক্সের টিকা মে মাসের মধ্যে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, সব কিছু মিলিয়ে ঝুঁকি এখনও উচ্চ থাকছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় তৈরি পেশাক পণ্য চাহিদা কমে যেতে পারে। একই সঙ্গে অভিবাসী শ্রমিকদের কাজের সুযোগ সীমিত হতে পারে। চলমান মহামারি আর্থিক খাতের ঝুঁকিকে তীব্রতর করেছে। এক্ষেত্রে খেলপি ঋণ, ব্যাংক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা অন্যতম।
এছাড়া করোনার ক্ষতি মোকাবেলায় গত এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া প্রনোদনা প্যাকেজগুলো খুব কার্যকর হয়েছে, তবে আবারো সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অতি দ্রুত বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের দেয়া লকডাউন দীর্ঘায়িত করতে হলে, খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা নিশ্চিত করা এবং একই সাথে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে নতুন করে সহজশর্তে প্রণোদনা প্যাকেজও দিতে বলেছে সংস্থাটি।