বিপ্লব পাল: করোনার সেকেন্ড ওয়েভ গোটা ভারতেই সুনামীর মতন আছড়ে পড়ছে। বি-১১৭ ভ্যারিয়ান্ট বাচ্চাদের ছাড়ে না। ফার্স্ট ওয়েভে ইয়াংরা খুব বেশি পাত্তা দেননি-যেহেতু শুধু বুড়োবুড়িরাই আক্রান্ত হচ্ছিল। এবার কিন্তু অন্য খেলা হবে। খুব দুর্ভাগ্যের সাথে দেখছি, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে সরকার কীভাবে প্যান্ডেমিক হ্যান্ডল করেছে বা করবে, সেটা কোনো ইস্যুই না। সব পার্টিই ভোটারদের ধর্মীয়, জাতি আইডেন্টির ওপর নির্ভর করে খেলছে।
রাজনীতিতে যখন ভোটারের ধর্ম- হিন্দু না মুসলমান মুখ্য হয়ে ওঠে, তখন সেই জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হতে পারে শুধুই মূর্খরা। বাস্তব এটাই হিন্দু মুসলমান সব ভাষাভাষি সব জাতিদের সমানভাবে নিয়েই একটা সমাজ বা রাষ্ট্র এগোবে। কোনো গোষ্ঠিকে পেছনে ফেলে দিলে বা কোনো গোষ্ঠীকে অতিরিক্ত সুবিধা দিলে- রাষ্ট্র ভাঙবে। বাস্তব এটাও, নানান পলিটিক্যাল পার্টি নানান ভাবে ‘ভিক্টিমহুড’ বা অত্যাচারিত হওয়ার গল্প বেচবে। হয়ত তার মধ্যেও সারবত্তা আছে।
কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা জলের মতন পরষ্কার। ঐতিহাসিকভাবে সেসব পলিটিক্যাল সিস্টেমই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে পেরেছে, যেখানে একজন মানুষ তার প্রতিভা তার দক্ষতার পূর্ণ বিকাশের সুযোগ পেয়েছে এবং সেই সুযোগটা যাতে গরিবরা আরও বেশি করে পায়, সেটা দেখা জরুরি। কারণ প্রতিভাবান দরিদ্র ফ্যামিলি থেকেই সব থেকে বেশি কাজের লোকেরা উঠে আসে। এক্ষেত্রে একজনের ধর্ম বা কাস্ট বাধা হলে, মুশকিল হবে। প্রতিটা মানুষের উচ্চাশা, আরও ভালোভাবে সৎভাবে বেঁচে থাকার ইচ্ছাই একটা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। রাষ্ট্র শুধু এই সুযোগটা করে দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমানের রাজনীতি কি আমেরিকা, কী ভারতে সম্পূর্ণভাবেই বসে বসে খাওয়ানো, পাওয়ানোর রাজনীতি। এর ফল কিন্তু মারাত্মক হতে চলেছে। আমরা খুব মারাত্মকভাবে চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি (ভারত এবং আমেরিকা)। প্রতিটা মেশিন, প্রতিটা প্রোডাক্ট চীনের পার্টস ছাড়া বানানো প্রায় ইম্পসিবল হয়ে যাচ্ছে। এই ভোগান্তি এখন আমাদের প্রতিদিনের।
আপনি নিজের হিন্দুত্ব, ইসলামিয়ত নিয়ে যতো খুশি নাচুন, কুঁদুন। আপত্তি নেই। কিন্তু আপনার নিজের ধর্ম নিয়ে এসব ফালতু নাচন কোদনের ফল হবে একটাই-ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে চীনের চাকর বানিয়ে যাবেন। পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার যা হাল হয়েছে চীনের হাতে, সেটাই ভবিষ্যতে হতে চলেছে ভারতের। যদি এই হিন্দু মুসলমানের পচা কমিউন্যাল সেন্টিমেন্ট এখনো আপনারা না ছাড়তে পারেন, চীনাদের নতুন প্রভু বলে মেনে নেওয়া জাস্ট সময়ের অপেক্ষা। আর পলিটিশিয়ানদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আপনি হিন্দু-মুসলমান ইস্যুতে সুড়সুরি খান বলেই,তারা সুযোগটা নিচ্ছে।
আর বাই দ্য ওয়ে, চীন নিধার্মিক বুদ্ধিমানদের দেশ। তারা ধর্মর তোয়াক্কা করেনা। সেটা উইগের প্রদেশে ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে-মাত্র এক প্রজন্মের মধ্যেই সেখানকার লোকজনের মাথা থেকে ইসলামের ভূত নামাচ্ছে। তারা প্রভু হিসেবে ব্রিটিশদের মতন এতো সভ্য না। সরাসরি ধর্মের ভূত মাথা থেকে নামাতে ওস্তাদ। সুতরাং বাঁচতে চাইলে, নিজের ধর্মর সুড়সুরি খাওয়া বন্ধ করুন। নইলে আগামী প্রজন্মে চীনের হাতে আপনার ধর্মের মৃত্যু নিশ্চিত। এটাও আমি লিখে যাচ্ছি প্রায় নিশ্চিতভাবেই! ফেসবুক থেকে