সমীরণ রায়: [২] রোববার দুপুরে জনকণ্ঠের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে সামনে আন্দোলন করছিলেন চাকরি হারানো সাংবাদিকরা। এতে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। এ সময় অতর্কিত হামলা চালায়া জনকণ্ঠের মালিক পক্ষের লোকজন।
[৩] আহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি এম এ কুদ্দুস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম, জনকণ্ঠের ডেপুটি ইউনিট চীফ পলাশ চন্দ্র দাস, সিনিয়র সাংবাদিক ফিরোজ মান্না, ওয়াজেদ হিরা ও আনোয়ারুল ইসলাম সাজুসহ ১০ জন। আহতদের মধ্যে অনেকে ঢাকার মগবাজারের কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
[৪] ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ খায়রুল আলম বলেন, জনকণ্ঠের চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের সঙ্গে আমরা আন্দোলনে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে জনকণ্ঠের মালিক পক্ষের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে অনেকেই আহত হন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
[৫] চাকরিচ্যুত সাংবাদিক পলাশ চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছিলাম। কিন্তু মালিক পক্ষের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায় এতে ১০জন আহত হয়েছেন।
[৬] জনকণ্ঠের কর্মীদের অভিযোগ, গত সাত বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে পদোন্নতি এবং ইনক্রিমেন্ট বন্ধ ছিল। এরমধ্যে অনেক কর্মীর অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করা হয়নি। এসব যৌক্তিক পাওনা পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা চিঠি দিলেও সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে গত ১৬ মার্চ অন্তত ৬০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করে তাদের মেইলে চিঠি পাঠায় জনকণ্ঠ কর্তৃপক্ষ। তাই এই ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে তারা আন্দোলন করছেন। অবিলম্বে এই ছাঁটাইয়ের আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি বকেয়া বেতন-ভাতা এবং প্রমোশন ও ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে।